ক্রীড়া প্রতিবেদক : ঘরোয়া লিগে জাতীয় দলের প্রায় সবাই খেলেছেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কিন্তু আজই দেশের জার্সিতে চায়ের শহরে প্রথম নামছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিমরা। স্বাভাবিকভাবেই এখানে নিজেদের অভিষেক ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে চায় বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ থেকে অনেকটা হতাশার স্রোতে ভাসছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের পর তা দেখা গেছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও। মিরপুরে গত বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড ১৯৩ রান করেছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচও শ্রীলঙ্কা অনায়াসে জিতেছে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে। তারপরও স্বাগতিদের মনবল রয়েছে চাঙ্গা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কথায় ফুটেও উঠল সেটা। ‘টেস্ট সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম, আশানুরূপ ফল পাইনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচটা ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করেছে, কিন্তু বোলাররা হয়তো পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু এখনও একটা ম্যাচ আছে। সেটিতে গর্ব নিয়ে নামার মানসিকতা এখনও আছে আমাদের। আমরা সেটার জন্য খেলব। ওটাই আমরা চিন্তা করছি।’
সিলেটে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহও আশাবাদী সেটা তারা করতে পারবেন। এ জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জও নিচ্ছে তার দল। ‘ঘুরে দাঁড়ানোর একটা তাগিদ সবার মাথায় কাজ করছে। আশা করি, আমরা মাঠে কিছু একটা করে দেখাতে পারব। যেটা
আমি আগেই বললাম যে, নিজেরা অনুপ্রাণিত হওয়া, বাংলাদেশ দলকে কিছু
দেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করা। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। নিজেরাও ওই
জিনিসটা অনুভব করছি। আশা করছি, ভালো কিছু দেখাতে পারব।’
গত বিপিএলে দেখা গেছে, সিলেটে পরে ব্যাট করা দলই জিতেছে বেশি। ৮ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে রান তাড়া করা দল। সেদিক থেকে টস হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই ভাবনায় যেতে চাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ।
ইনজুরি কাটিয়ে আজ বাংলাদেশ একাদশে ফিরছেন তামিম ইকবাল। তাতে স্বাগতিকদের মনোবল হয়েছে চাঙ্গা। যা দিয়ে সিলেট অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে সমতায় সিরিজটাও শেষ করতে টাইগাররা।