Print Date & Time : 17 July 2025 Thursday 7:22 pm

সিসিকের ১০৪০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য এক হাজার ৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আয় এবং সমপরিমাণ ব্যয় ধরে বাজেট প্রণয়ন করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণা করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। খবর: বাংলা ট্রিবিউন।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘সিলেট নগরীর নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা এবং সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।’

বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাতগুলো হলোÑহোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের ওপর কর ১৬ কোটি টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের ওপর কর ২ কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার ওপর কর ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের ওপর কর এক কোটি ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৮০ লাখ টাকা, ঠিকাদারি তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা, ল্যাব টেস্ট ফি বাবদ ৬০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ৫০ হাজার টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৫০ লাখ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৩০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় এক কোটি ২০ লাখ টাকা, দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কের টিকিট বিক্রি থেকে আয় ৮০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগের ফি বাবদ এক কোটি টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি টাকা।

বাজেটে উল্লেখযোগ্য ব্যয় খাতগুলো হলোÑনির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি করপোরেশনের নিজস্ব লিয়াজোঁ অফিসের জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়, কসাইখানা নির্মাণ, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন, সিটি করপোরেশনের যানবাহন রক্ষায় গ্যারেজ নির্মাণ, সিটি করপোরেশনের যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণে ওয়ার্কশপ নির্মাণ, হাটবাজার উন্নয়ন, বাস টার্মিনাল সংস্কার ও উন্নয়ন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঠাগার নির্মাণ, নাগরিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গভীর নলকূপ স্থাপন, এমজিএসপি প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নিজস্ব অর্থ ব্যয়, সিটি করপোরেশনের জন্য জিপ গাড়ি ও দুটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স কেনা এবং নারীদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ব্যয়সহ ইত্যাদি ব্যয় উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে ব্যয় ৫ কোটি টাকা, কভিড-১৯ মোকাবিলা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরি খাতে ব্যয় ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি টাকা, ইত্যাদি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।