সীমান্ত উম্মুক্ত করছে চীন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর বিদেশিদের জন্য আবার ভিসা দেয়া শুরু করছে চীন। এর মধ্য দিয়ে বিদেশি পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত হচ্ছে দেশটির সীমান্ত। খবর: রয়টার্স।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, আগামীকাল থেকে সীমান্ত খুলে দেয়া হবে। এদিন থেকে ভিসা ইস্যু করা শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে বিদেশিদের ভ্রমণের জন্য চীনের দুয়ার আবার খুলে যাচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো সংশ্লিষ্ট একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে গতকাল মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন ভিসাগুলো পর্যালোচনা ও অনুমোদন করার পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৮ মার্চের আগে ইস্যু করা ভিসাগুলোর মধ্যে যেগুলোর এখনও মেয়াদ রয়েছে, সেগুলোও অনুমোদন করা হবে। অর্থাৎ এসব ভিসাধারী ব্যক্তিরা আবার চীনে ভ্রমণ করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসগুলোর ওয়েবসাইটেও একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

প্রমোদতরিতে সাংহাইয়ে পৌঁছানো বিদেশিদের জন্য ভিসা মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা আবার চালু হচ্ছে। হংকং, ম্যাকাও এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পর্যটকরাও একই সুবিধা পাবেন।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পর্যটক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেন। মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন।

পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রেখেছিল। এ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ। এরপর ২০২২ সালের শেষ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করে বেইজিং।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহারে করোনা পরীক্ষা, লকডাউন ও দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনের বিধিগুলো তুলে নেয়। একই মাসের শেষের দিকে বেইজিং ঘোষণা করে ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশি ভ্রমণকারীদের আর কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই।

সে সময় বেইজিং বলেছিল, মহামারি পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে বিজ্ঞানসম্মত উপায় মেনে বিদেশিদের জন্য ভিসানীতি সাজানো হবে।