সীমান্ত থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা রাশিয়ার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্ট্রির মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকোভ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। খবর: লাইভ মিন্ট।

ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক জেলার ইউনিটগুলো তাদের মিশন শেষ করেছে। ইতোমধ্যে তারা ট্রেন ও যান্ত্রিক গাড়িতে ওঠা শুরু করেছেন। আর আজই (গতকাল) তাদের সেনানিবাস ফিরিয়ে আনা হবে। আলাদা ইউনিটগুলো সামরিক বহরের অংশ হিসেবে হেঁটে যাবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী সেনা সদস্যরা বেশ কয়েকটি যুদ্ধ মহড়া শেষ করেছেন। তবে আরও কিছু মহড়া এখনও চলছে বলে জানান তিনি। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী বড় ধরনের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেয়া অব্যাহত রেখেছে। বাস্তবে সব সামরিক জেলা, বহর ও বিমানবাহিত সেনা সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন।

ওই অঞ্চলের আরেকটি বড় মহড়া করছে রাশিয়া ও বেলারুশ। এই যৌথ মহড়া আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ৩০ হাজার সেনা বেলারুশের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেন।

সৈন্যদের ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় রাশিয়ার পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা গেছে। ইউক্রেন সংকট যে দামামা বাজিয়ে দিয়েছিল, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চলা অচলাবস্থা অবসানে আরও আলোচনার কথা বলায় ও যুদ্ধ এড়াতে কিয়েভের কর্মকর্তাদের ছাড়ের ইঙ্গিত মেলায় সেই সংকটের সুরে খানিকটা পরিবর্তন এসেছে।

রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেন উপকূলে জড়ো হলেও রাশিয়ার স্থল বাহিনীগুলো আঘাত হানতে প্রস্তুত, এমনটি দেখা গেলেও সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

সামরিক পদক্ষেপ ছাড়াই সেনা সমাবেশকে ব্যবহার করে মূল উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করতে পারবে, ক্রেমলিন এখনও সে সম্ভাবনার কথা ভাবছে। কিয়েভও তাই ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার আকাক্সক্ষা বাদ দেয়ার চিন্তা করছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভলেদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা ‘স্বপ্নের মতো’ বলে মনে করেন। সম্প্রতি কিয়েভ সফরে আসা জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।