Print Date & Time : 13 August 2025 Wednesday 7:21 pm

সুদানফেরত প্রবাসীদের সহয়তা দেবে সরকার ও আইওএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সরকার সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহায়তা দেবে আপনাদের।’ গতকাল সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রত্যাবর্তনকারীদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো এই কঠিন সময়ে আপনি যে কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন তা দূর করা।’

তিনি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না। আপনারা আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আপনারা সুদানে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন আপনি খালি হাতে ফিরে আসছেন। নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা আপনাকে সাহায্য ও সমর্থন করতে এখানে আছি।’

গতকাল সকালে ১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ঢাকার হযরত

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সমন্বিত সহায়তায় জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদের আইওএম তার অভ্যন্তরীণ জরুরি সহায়তা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে।

ঢাকায় আসার পর তাদের খাবার ও বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রত্যেককে পরিবহন ভাড়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড ও আইওএম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিদেশে তার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, ‘আমাদের সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশির মঙ্গল নিশ্চিত করতে নিবেদিত।’ অন্যদিকে, আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরত গাজ্জালী এ মানবিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষারত ৬৮০ বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ১৩৬ জনকে সমন্বিত উদ্যোগে দেশে আনল বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম।