প্রতিনিধি, কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহিদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলে দীর্ঘদিন ধরে সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এতে গত দুই বছরে কোনো সমাধান না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেসিং ও পানির ফিল্টার খুলে নেয়ার আহ্বান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক দিন থেকে দুইটি ব্লকে ওয়াশরুমের দরজা এবং প্রতিটি তলায় বেসিং নষ্ট পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পানির ফিল্টার নষ্ট থাকায় ব্যবহার হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারকৃত পানি পান করছেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হলো প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছর ধরে শিক্ষাথীরা ওয়াশরুমের ব্যবহারকৃত পানি পান করে যাচ্ছেন। এতে বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর শঙ্কায় আছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস বলেন, শুধু পানি না, ডাইনিংয়ের সমস্যা রয়েছে। যেখানে অন্যান্য হলের মিলরেট ৩৫ টাকা সেখানে আমাদের এখানে ৪০ টাকা। শিক্ষার্থীরা এত টাকা কোথায় থেকে দেবে। এছাড়া কয়েকবার হলের সমস্যা জন্য গিয়েও হলের প্রভোস্টকে পাওয়া যায় না।
আবাসিক শিক্ষার্থী হানিফ ভূইয়া রনি বলেন, প্রভোস্ট নিজেই জানে না ওনার দায়িত্ব কী। সরকারি এসি পেয়েছে মন যখন চায় তখন এসে আড্ডা দেয়া। আর দরকার পড়লে আসে গোলমিটিং এলো, বসল, জয় করল, চলে গেল
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রবিউল হোসেন বলেন, যেখানে হলের কর্মচারীরা প্রতিদিন পরিষ্কার করার কথা, সেখানে তারা মনে হয় সপ্তাহে এক দিন আসে। হলের বিভিন্ন রুমে, টিভি এবং ডাইনিং রুমেও ফ্যান নষ্ট। কিন্তু হল প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতদিনে বাজেট কেন বাস্তবায়ন হচ্ছেনা সেটা হল প্রশাসন ভালো জানবে। এসব বিষয়ে হলো প্রভোস্ট ড. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে অবগত আছি। পানির ফিল্টারগুলো অনেক সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বেশি দিন কাজ করে না। তাই আমরা খুব দ্রুত পানির জন্য আলাদা ট্যাংক বসাব। এছাড়া বেসিংয়ের জন্য প্রকৌশলী দপ্তরকে জানানো হয়েছে তারা শিগগিরই কাজ শুরু দেবেন।’