সুস্থ মা: আগামী বাংলাদেশের প্রাণশক্তি

কাজী শাম্মীনাজ আলম: ‘আপনারা এমনভাবে গড়ে উঠুন বা আপনারা এমন মা হবেন, এমন বোন হবেন যে আপনাদের আদর, আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের মনের যে সচেতনতা তাই দিয়ে ভবিষ্যৎ বংশধরকে গড়ে তুলবেন।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ, প্রথম স্বাধীনতা দিবসে ঢাকার আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার অনুষ্ঠান বক্তৃতা দিতে গিয়ে নারীদের উদ্দেশে এ কথাগুলো বলেছিলেন। প্রায় ৫০ বছর আগের এ কথাগুলো আজও প্রাসঙ্গিক। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

জাতির পিতার আদর্শে পরিচালিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি সুস্থ ও সবল ভবিষ্যৎ প্রজš§ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। গত দশকে দেশের স্বাস্থ্য খাতে আমূল পরিবর্তন ও সরকারের বেশকিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে দেশে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১, জাতীয় শিশু উন্নয়ন নীতি-২০১১,  দ্রারিদ্যবিমোচন কৌশলপত্র ও জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রসহ সরকারের সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রণয়ন করা হচ্ছে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট।

নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। একটি জাতির স্বাস্থ্যমানের ওপর নির্ভর করে তাদের উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যমানকে পিছিয়ে রেখে সার্বিক স্বাস্থ্যসূচকে কাক্সিক্ষত মান অর্জন করা সম্ভব নয়। সরকারও এ খাতকে গুরুত্ব দিয়ে নারীস্বাস্থ্য উন্নয়নের সব কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্যহারে কমে এসেছে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে দেশে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৫৭৪ জন, যা এখন ১৬৫-তে নেমে এসেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ছিল হাজারে ৯০ দশমিক ছয়জন, এখন তা ২১। স্বাস্থ্য খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে অসাধারণ সাফল্যের জন্য ‘এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, ২০১০’ অর্জন করেছেন। এছাড়া নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে দেশে যেসব বাধা দৃশ্যমান, তার মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রামীণ ও প্রান্তিক নারীদের মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তার অভাব। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু প্রতি লাখে ৬৩ জন এবং শিশুমৃত্যু প্রতি হাজারে ১২-তে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে ‘দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি’ ও ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচি অন্যতম। সরকার মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শিশুর সঠিক পুষ্টি নিয়ে বেড়ে ওঠাকে গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দুটির আওতায় গত এক যুগ প্রান্তিক নারীদেরও সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মাতৃগর্ভে থাকার সময় থেকেই শিশুর বিকাশ শুরু হয়। তাই মায়ের যতœ শুরু হওয়া উচিত তখন থেকে বা তার আগে থেকেই। এ সময় দরকার তার বাড়তি যতœ। খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার থাকলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয়। গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির ঘাটতির ফলে জন্ম নিতে পারে অপরিণত শিশু। সরকারের জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন প্রচারকার্যক্রম ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমান যুগে প্রায় সব পরিবারই মায়ের সেবার বিষয়ে সচেতন। কিন্তু শহরের তুলনায় গ্রামে শিক্ষার হার কম, পাশাপাশি আর্থিক অসচ্ছলতা ও অসচেতনতার কারণে প্রান্তিক অনেক নারীই গর্ভকালীন সেবা থেকে বঞ্চিত হন। দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করার জন্য ২০০৭-০৮ অর্থবছর সবচেয়ে ‘দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি’ গ্রহণ করা হয়েছে।

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় একজন মা প্রথম অথবা দ্বিতীয় যেকোনো এক সন্তানের জন্য ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া ভাতাভোগী মহিলারা শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোসহ উন্নত পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, শিশুর মনোসামাজিক বিকাশ, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত এনজিও ও সিবিও’র মাধ্যমে বছরে পাঁচ দিন জীবনদক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার জন্য ভাতাভোগীদের যাতায়াত ভাতাও দেয়া হয়। সদর কার্যালয় থেকে অর্থবছরের শুরুতে বরাদ্দ প্রাপ্তির ভিত্তিতে ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হয় এবং তিন মাস অন্তর ভাতা দেয়া হয়। বর্তমানে ৪২৬টি উপজেলায় এ কর্মসূচি চলমান। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতাপ্রদান কর্মসূচির আওতায় ৪৫ হাজার ভাতাভোগীর মধ্যে ৩০০ টাকা হারে ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মাসিক ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮০০ টাকায় উন্নীত হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই কর্মসূচিতে ৭৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে চলতি অর্থবছরে গড় বৃদ্ধির হার ৩৪ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে ভাতাগ্রহীতার সংখ্যা সাত লাখ ৭০ হাজার।

শহরাঞ্চলে নি¤œ-আয়ের গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মায়েদের কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির অধীনে ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ কর্মসূচিতেও শিশুর সঠিক পরিচর্যায় মায়েদের ভূমিকা, শিশুস্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টিমান প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র পোশাক কারখানাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি টাকা এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ৫০০ জন। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ২৭৪ কোটি টাকা এবং উপকারভোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৭৫ হাজার। একজন মা প্রতিমাসে ৮০০ টাকা হারে একাধারে তিন বছর ভাতা ও সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবেন।

প্রথম অথবা দ্বিতীয় যেকোনো সন্তানের জন্য ভাতাপ্রাপ্তি এবং শহর ও গ্রাম এলাকায় একই ধরনের দুটি কর্মসূচি থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি ও কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচিকে একীভূত করে ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ চালু করা হয়, যা পূর্বতন কর্মসূচি দুটির উন্নত সংস্করণ। বর্তমানে আটটি বিভাগের সাতটি উপজেলা ও ছয়টি বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র গার্মেন্ট কারখানায় এটি চালু আছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে প্রথম ও দ্বিতীয় (দুটি) সন্তানের জন্য ভাতা পাওয়া যায়। এ কর্মসূচিতে গর্ভবতী মা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার তথ্য আপার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে অথবা বাড়িতে বসে সেলফ এনরোলমেন্ট করতে পারেন। কর্মসূচির আওতায় ৩৬ মাস ৮০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ভাতাভোগীরা। প্রতিমাসে ভাতাভোগীরা বিভিন্ন সচেতনতামূলক উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন। সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে শূন্য থেকে চার বছরের মোট শিশুর অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশকে এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যার আওতায় আসবে সম্ভাব্য ৬৫ লাখ শিশু।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ছাড়াও সরকার গত ১০ বছরে ১৬ হাজারের অধিক কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে গ্রামীণ, দুস্থ ও অসহায় নারীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। জেলা পর্যায়ে নারীবান্ধব হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশে ১৩ হাজার মাতৃস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য, সেবা ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। শিশুর ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন’ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। সারাদেশে এখন ২০০ ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন’ ইউনিট কাজ করছে। দেশে টিকাদান কর্মসূচির পরিসর বাড়িয়ে ১১টি প্রতিষেধক দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি জাতিসংঘ কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি, গর্ভকালীন জটিলতার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ডিমান্ড সাইড ফাইন্যান্সিং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম’ করেছে। এই স্কিম থেকে সন্তানসম্ভবা নারীরা গর্ভকালে তিনবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিরাপদ সন্তান প্রসব, প্রসব-পরবর্তী একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারছে এবং এর জন্য যাতায়াত ভাতা পাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ নারী এই স্কিম থেকে সেবা ও আর্থিক সহায়তা নিয়েছে।

এ কথা সত্য, কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সঠিক ভাতাভোগী খুঁজে বের করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী ভাতাপ্রাপ্তির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া উš§ুক্ত করে দিয়েছে, যার ফলে পাওয়ার উপযোগী যে কোনো ভাতাভোগী অনলাইনে ইউনিয়ন ও পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টারগুলোয় গিয়ে নিজে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া টোল ফ্রি নম্বর ৩৩৩ ও সরকারের একসেবায় ফোন করে তথ্য জানতে পারেন। এরই মধ্যে ভাতাভোগীর অর্থ শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিটুপি বা সরকার থেকে সরাসরি ভাতাভোগীর নিজ হিসাব নম্বরে পাঠানো হচ্ছে। কোনো ভাতাভোগী বঞ্চিত হলে বা হয়রানির শিকার হলেও  জানাতে পারবেন। তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্রক্রিয়ার প্রচলন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, যাতে করে এসব সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরও দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে অবহেলিত নারী ও শিশুদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়।

একথা অনস্বীকার্য যে, সুস্থ মা মানেই সুস্থ জাতি। আর সুস্থ জাতির নিরবচ্ছিন্ন পথ চলা নির্ভর করবে একটি সুস্থ, সবল ও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর প্রজন্মের ওপর।  আজকের শিশুরা আগামীর দিন বদলের কারিগর। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কোনো নারী পারেন একটি শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যসমৃদ্ধ সন্তান জন্ম দিতে। বর্তমান সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে আলোকিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই গর্ভকালীন মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের মহৎ এসব উদ্যোগকে আরও সফল ও সমৃদ্ধ করতে সব নাগরিক ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে। একজন গর্ভবতী মাও যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত না হন এ প্রত্যয় নিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়ে।

পিআইডি নিবন্ধ