নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স, ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক, ডিএস৩০ সূচকের পাশাপাশি বাজার মূলধনের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসেও রেকর্ড অবস্থানে ছিল। তবে ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় সামান্য কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইএক্স ২২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৮৮৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে পৌঁছায়, যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক সাত দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৯৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক তিন দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৪৬৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে স্থির হয়, যা কিনা ডিএসইতে সর্বোচ্চ অবস্থান। দুই হাজার ৩৩২ কোটি টাকা বেড়ে গতকাল বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার ৭০২ কোটি টাকায়, যা ডিএসইতে সর্বোচ্চ।
ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২১৩টির এবং কমেছে ১৩১টির। বাকি ৩২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় দুই হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৭৭৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
ডিএসইতে এদিন ৮১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৩টি শেয়ার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৪৯ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে।
ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ১৮৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর দুই টাকা ৩০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৯৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬১ কোটি ৪৩ লাখ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৫৭ কোটি ৫৮ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ৪৯ কোটি এক লাখ, ন্যাশনাল পলিমারের ৪৮ কোটি ২৬ লাখ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৪২ কোটি ১০ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৪০ কোটি ১৭ লাখ, শাইনপুকুর সিরামিকের ৩৩ কোটি ৯২ লাখ এবং তিতাস গ্যাসের ৩৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
এদিকে ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড। আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, সাউথ বাঙলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের আট দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৪০ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ২৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২০ হাজার ৬৫ দশমিক শূন্য চার পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ৩২৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ১১৬টির এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল।