সূচক ধরে রাখল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো

মো. আসাদুজ্জামান নূর: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের সামান্য উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিংহভাগ সিকিউরিটিজের দরপতনেও সূচক ইতিবাচক রেখেছে বড় মূলধনি কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লিমিটেড। এ ছাড়া এক্সচেঞ্জটিতে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও সামান্য বেড়েছে।

পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দর বৃদ্ধি পাওয়া শেয়ারগুলো থেকে মুনাফা গ্রহণের পাশাপাশি পুনর্বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও রিব্যালেন্সিং করছেন। যার কারণে ক্রয় ও বিক্রয় চাপ প্রায় সমান রয়েছে। যার কারণে সূচকের বড় উত্থান দেখা যাচ্ছে না।

গতকাল রোববার ডিএসইতে এক হাজার ২৭৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে; যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার।

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশই এ খাতের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। তৃতীয় স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাত। খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আট দশমিক ৪২ শতাংশ লেনদেন করে বিবিধ চতুর্থ এবং আট দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেন করে ট্যানারি খাত পঞ্চম স্থানে রয়েছে। লেনদেন পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমেÑসাধারণ বিমা, ব্যাংক, খাদ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি ইত্যাদি।

সিংহভাগ কোম্পানির দরপতনের কারণে বেশিরভাগ খাতেই দরপতন দেখা গেছে। তবে বিবিধ খাতে ৫৩ শতাংশ, ট্যানারি ৬৬ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৭৮ শতাংশ, খাদ্য ৭৬ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ ৬৬ ও পাট খাতে ১০০ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি দেখা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৭৯ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির দর পতনেও সূচক বেড়েছে। দিন শেষে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে সাত হাজার ৮৯ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়েছে।

সূচক ধরে রাখতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানি লিমিটেড। সূচকে একাই ৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট যোগ করেছে কোম্পানিটি। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট যোগ করেছে ফরচুন শুজ। কোম্পানিটির সাত দশমিক ৩৪ শতাংশ দর বৃদ্ধিতে ওই পরিমাণ সূচক বেড়েছে। এছাড়া সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছেÑলিনডে বাংলাদেশ, বীকন ফার্মা, গ্রামীণফোন, ওয়ালটন হাইটেক, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ও আইএফআইসি ব্যাংক। সব মিলিয়ে এ ১০ কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি সূচক কমিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, রেনাটা, রবি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এক্মি ল্যাবরেটরিজ, পাওয়ার গ্রিড, ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। সব মিলিয়ে এ ১০ কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৬ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট।