Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 5:14 pm

সেই ৬ ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে দেশি–বিদেশি ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার ব্যাংকগুলোর এমডিদের এই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে এসব ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যে ছয়টি এমডিদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে সেসব ব্যাংক হলো দেশীয় ডাচ্‌-বাংলা, সাউথ ইস্ট, প্রাইম, দি সিটি, ব্র্যাক ও বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম শেয়ার বিজ কে জানিয়েছেন, ডলার নিয়ে কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফার করার অভিযোগে ৬টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বুধবার কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকও পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টিম। যদি কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া, সব ব্যাংককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডলার বিক্রিতে অতিরিক্ত মুনাফা করে তা আয় খাতে দেখানো যাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল নিয়মিত কাজ করছে। ডলারের সংকট ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকায় এর আগে ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারণ, ৫টি মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, যাতে কেউ কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট না করতে পারে, তার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে, ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে মুনাফার হারও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে, সেই দরকে বেঞ্চ মার্ক ধরে তার চেয়ে ১ টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে এবং সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। ব্যাংকগুলো ১ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।

বর্তমানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৯৫ টাকা হলেও চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খোলা বাজারে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে, গত রোববার খোলাবাজারেও ডলারের দাম কমে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ দর এখনও বিদ্যমান। ডলারের মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে বাজারে অস্থিরতা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।