শেয়ার বিজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর আকার বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসেবে তরুণদের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে রাশিয়া। চলতি মাসের প্রথম দিন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ১ লাখ ৪৭ হাজার তরুণকে সামরিক বাহিনীতে এক বছরের বাধ্যতামূলক যোগদানের আদেশে সই করেন। ২০২২ সালের বসন্তকালীন মিলিটারি সার্ভিসের সময় এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার। খবর: ডয়চে ভেলে।
চলতি বছর তরুণদের কাছে সামরিক বাহিনীকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য একটি বিজ্ঞাপনও প্রচার করেছে কর্তৃপক্ষ। শুধু বাধ্যতামূলক এক বছর নয়, বরং সামরিক বাহিনীতে তাদের চুক্তিভিত্তিক যোগদানে আগ্রহী করে তোলা এর উদ্দেশ্য।
রাশিয়া চার লাখের মতো চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগ করে তাদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য পাঠাতে চায়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য ইউক্রেনে আরও বেশি সেনা নিয়োগ এবং মোতায়েনের পরিকল্পনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রুশ সেনাবাহিনীর সেনা মোতায়েন বিভাগের প্রধান ভøাদিমির সিমলিয়ানস্কি বলেন, আমাদের নতুন করে আরও সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। যাদের এরই মধ্যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং যারা স্বেচ্ছায় বিশেষ অভিযানে গেছে, তারাই এ জন্য যথেষ্ট।
নোভোসিবিরস্ক শহরের একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক সের্গেই চেরনিশভ জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্মকর্তারা স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে প্রচারের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বিজ্ঞাপন পাঠিয়েছেন। চেরনিশভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রচারপত্র শেয়ার করেছেন। প্রচারপত্রে তরুণেরা রুশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিলে কী সুবিধা পাবেন, তার বর্ণনা দেয়া রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা ভুল করছেন। ছাত্ররা শিক্ষাজীবন শেষ করে সামরিক সেবা দেবে। তাদের পড়াশোনা ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বলাটা পাগলামি।
একই ধরনের প্রচারপত্র নোভোসিবিরস্কে বিভিন্ন বুলেটিন বোর্ড, বাড়ির দরজা ও সিঁড়িতে রেখে আসার জন্য শহর পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সেনাবাহিনীকে সংস্কারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। সাড়ে ৩ লাখ সৈন্যের সেনাবাহিনীকে ১০ থেকে ১৫ লাখে পরিণত করা এর মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সৈন্য নিয়োগ করাটা প্রায় অসম্ভব।
ক্রেমলিন সেনাবাহিনীতে যোগদানের বয়স বর্তমানে ১৮ থেকে ২৭ বছরের পরিবর্তে ২১ থেকে ৩০ বছর করা হবে বলে জানিয়েছে।