সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মা সিউটিক্যালস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৬৪ লাখ ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ কোটি ২০ লাখ এক হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪০টি শেয়ার মোট ৬৩৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা পাঁচ পয়সা ও ১৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। মিউচুয়াল ফান্ডটির ইউনিটদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ফান্ডটির প্রতিদিন ৫৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার টাকার ইউনিট।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৬ কোটি ৫৫ লাখ এক হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ ৬ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে দি এক্মি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৪০ লাখ ৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৩৫

লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে চার দশমিক ৩০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার লাখ ছয় হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।