শেয়ার বিজ ডেস্ক:উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি ও চীনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার বিস্তার নিয়ে শঙ্কার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী জাপান। গতকাল রোববার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিউল সফরে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সফরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলের সঙ্গে আলোচনা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এ সময় সেমিকন্ডাক্টর বা চিপস নিয়ে আলোচনা করেন তারা। খবর: ব্ল–মবার্গ।
তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের দাবি করে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কে উপনীত হয়েছে চীন। বেইজিংকে দমাতে এশিয়ার এ দুই পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়াশিংটন চীনের চিপস রপ্তানি কমাতে চায়। এ কার্যক্রমে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে একমত হয়েছেন।
বিদেশি বিনিময় ও বাণিজ্য আইনের অধীন শিল্প খাতের পণ্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে জাপান। একই পথে হাঁটছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্য দিয়ে সিউল ও টোকিওর ‘শাটল কূটনীতি’ আবার শুরু হতে চলেছে।
সফরের আগে সাংবাদিকদের কিশিদা জানান, সিউলের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক স্থাপনে ইয়ুনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন তিনি। তবে আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি কিশিদা।
কোরীয় উপদ্বীপে ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বের সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর যৌন দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের নৃশংসতা চালায় জাপান। এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে সিউল। ঐতিহাসিক এ দ্বন্দ্ব নিরসন করে সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি বছরের মার্চে টোকিও সফরে গিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিউলে ঐতিহাসিক এ সফরে যান ফুমিও কিশিদা।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় সিউলের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ আছে আমাদের।