Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 7:59 pm

সোনালী আঁশ ও ন্যাশনাল পলিমারের ঋণমান নির্ণয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোনালী আঁশ: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদি রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি২’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক দুই শতাংশ বা ১৯ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৫৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৫৪ টাকা ৩০ পয়সা। ওই দিন কোম্পানিটির এক কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৬ হাজার ৫৮১টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৩২ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৭০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৮৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮৩০ টাকায় ওঠানামা করে।
পাট শিল্প খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। ওই সময় এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৯০ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ২২৫ টাকা ১৯ পয়সা। ওই সময় করপরবর্তী আয় করেছিল ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ২৭ লাখ ১২ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক পাঁচ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪১ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ন্যাশনাল পলিমার: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদি রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি২’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ বা দুই টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা। দিনজুড়ে সাত লাখ ১৪ হাজার ৭১৭টি শেয়ার এক হাজার ২৯৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১১১ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ২৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে সাত কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬২ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৯৯ লাখ ১১ হাজার ৩৪১টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১০ দশমিক ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।