Print Date & Time : 10 September 2025 Wednesday 1:49 pm

সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি তাহমিলুর রহমানসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের কোম্পানি ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন ও সোনালী ব্যাংকের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় মামলাটির অনুমোদন দেয়া হয়। উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেনÑমেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুণ অর রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, পরিচালক জি আর চৌধুরী ওরফে গোলাম রব্বানী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন মিয়া, এ এইচ এম জাহাঙ্গীর ওরফে আবু হাসান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও রাজিব সিরাজ এবং সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এমডি মুহাম্মদ তাহমিলুর রহমান, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমানুল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ও শফিকুর রহমান, উপ-সহব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোশারফ আলী, মো. কামরুল ইসলাম ও আবু জাফর মো. সালেহ, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলী আরশাদ, মো. আবু মুসা ও আব্দুল গফুর ভুইয়া, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আতিকুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন আহম্মদ ও এস এম এম আওলাদ হোসেন এবং সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নামে ২০০৪ সালে এলসির বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের শাখা থেকে ঋণ নেয়া হয়েছিল। দুদকের অনুসন্ধানে ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ পাওয়া যায়নি। ঋণ হিসেবে ৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাতের জন্য দায়ী সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। অনেক আসামি আবার বিদেশে পলাতক রয়েছেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এক মামলায় আদালতের রায়ে সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে মামুনের। ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে জজ আদালত খালাস দিলেও আপিলের রায়ে হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেন। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে মামুনের বিরুদ্ধে।