Print Date & Time : 12 September 2025 Friday 3:56 am

সৌদি আরব-ইরান দ্বন্দ্ব ও সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের নেপথ্যে

আতিকুর রহমান আতিক : কয়েক দিন থেকে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে ইরান ও সৌদি আরব প্রসঙ্গ। কেননা চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দেশ দুটি।

কয়েক দফার বৈঠকের পর গত ১০ মার্চ বেইজিংয়ে এ ঘোষণা দেন সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসাদ বিন মোহাম্মদ আল আইবান এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান আলী শামখানি। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে দেশটির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের পরিচালক ওয়াং ই।

ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক নি¤œস্তরে বিরাজ করছে। ফলে তাদের উভয় দেশের দীর্ঘদিনের বিরোধের বলি হয়েছে আরব বিশ্বের লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে বিদ্যমান কয়েক বছরের সম্পর্কের উত্তেজনা যেমন মধ্যপ্রাচ্যে সংকট বাড়িয়েছে, তেমনি গভীর করেছে ইয়েমেন ও সিরিয়া সংঘাত। এমন প্রেক্ষাপটে পুরো আরব বিশ্বের জনগণ সেখানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক সমস্যার সমাধান নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

দ্বন্দ্বের নেপথ্য: ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের বৈরিতার শুরু ১৯৮০-১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। সে সময় ইরাক ইরান আক্রমণ করলে সৌদি আরব মুখে মুখে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও বাস্তবে দেশটি তার তিনটি বন্দর সামরিক সরঞ্জাম-রসদ আনা-নেয়া করতে ব্যবহার করতে দিয়েছিল ইরাককে।

যুদ্ধের মধ্যেই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় ইরানি হজযাত্রীদের সঙ্গে সৌদি পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই বছরের মে মাসে ইরান ও ইরাক উভয় দেশকে বাদ দিয়ে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইন মিলে গঠন করে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি।

১৯৮৪ সালে ইরাক ইরানের তেল বহরে হামল চালানোর জবাবে ইরান সৌদি জলসীমায় সৌদি তেল ট্যাংকারে আক্রমণ চালায়। জবাবে সৌদি আরবও ইরানের ফ্যানটম যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। পরে আবারও সৌদি আরবে ইরানের শিয়া মুসলিম ও সৌদি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পদদলিত হয়ে সব মিলিয়ে ৪০০ জন মারা যান।

তেহরানে দূতাবাস আক্রান্ত হওয়ার জবাবে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বাতিল করে সৌদি আরব। সে বছরই ইরান হজ বয়কট করে। এই বয়কট চলে ১৯৯০ সাল অবধি। ১৯৯০ সালে ইরানে ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এ ভূমিকম্পে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। সৌদি আরব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। দেশটি বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা পাঠায় ইরানে। এমন প্রেক্ষাপটে পরের বছর রিয়াদ-তেহরান কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও চালু হয়।

২০০৫ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ ক্ষমতায় এলে তিনি পররাষ্ট্র নীতিতে কঠোর অবস্থান নেন। উভয় দেশ ইরান ও সৌদি আরব ক্রমবর্ধমানভাবে লেবানন, ফিলিস্তিন, ইরাক ও আফগানিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নামে।

তবে আরব বসন্ত দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন গণতন্ত্রপন্থিরা। এ সময় সৌদি আরব অভিযোগ করে, ইরান এ আন্দোলনে মদত দিচ্ছে।

২০১১ সালে সিরিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ইরান-সৌদি আরব আবার মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শিয়া মুসলিম-অধ্যুষিত ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন দেয়। সরকারবিরোধী সুন্নিদের বিরুদ্ধে আসাদ বাহিনীর হয়ে লড়তে সেনাসদস্য ও অর্থ সহায়তা দিতে শুরু করে ইরান। অন্যদিকে সুন্নি মুসলিম-অধ্যুষিত সৌদি আরব সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয়। এরপর ২০১৪ সালে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দেয়।

২০১৫ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তাদের সম্পর্কে আবার অবনতি ঘটে। এ সময় শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিতে শুরু করে ইরান। সৌদি আরব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারকে সমর্থন দেয় এবং সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে।

২০১৫ সালে হজের সময় মক্কায় পদদলিত হয়ে হজ করতে যাওয়া বহু মুসল্লির মৃত্যুর ঘটনায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে আবারও উত্তেজনা বাড়ে। সেবার পদদলিত হয়ে হজ করতে যাওয়া প্রায় দুই হাজার মুসল্লির প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে চার শতাধিক মুসল্লি ছিলেন ইরানের নাগরিক।

২০১৬ সালে এসে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। সেই বছর সৌদি আরব প্রখ্যাত শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এই শিয়া নেতা ছিলেন সৌদি সরকারের একজন সমালোচক। এর প্রতিবাদে তেহরানে সৌদি আরবে দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। একই সঙ্গে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি নিমরের মৃত্যুদণ্ডের জন্য ‘ঐশ্বরিক প্রতিশোধ’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। এর পরই সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

দুদেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের গুরুত্ব: কয়েক বছর ধরে চলা দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলেছিল দুই বছর ধরে। ২০২১ সালে ইরাকে সৌদি ও ইরানি কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু পাঁচ দফা বৈঠকের পরও কোনো ফল আসেনি। পরে গত বছরের শুরুর দিকেও ওমানেও বৈঠক হয়েছিল। তবে সেখানেও সমস্যা সমাধান হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরব ও ইরানের পাশাপাশি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীন উভয় দেশের এ সম্পর্ক থেকে লাভবান হবে।

অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের সমালোচনার পর উভয় দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়। এছাড়া ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র তাদের অগ্রসর প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সৌদি আরবকে হস্তান্তর করবে না বলে

জানিয়ে দেয়।

পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করলেও সৌদি তা প্রত্যাখ্যান করে। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব চাইছে পশ্চিমাদের ওপর এককভাবে নির্ভরশীল না থেকে আঞ্চলিক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাবশালী চীনের সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়ন জরুরি, যা সৌদির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক।

এছাড়া খুব সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী থাকা সত্ত্বেও সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যে দুর্বল, তা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হুতির হামলার ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। অপরদিকে তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতায় অত্যন্ত শক্তিশালী।

এর আগে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অপরাধে দীর্ঘদিনের মিত্র রাষ্ট্র কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি সরকার এবং খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। কাতারের এই বিপদে বন্ধুর মতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ইরান। কাতারবিরোধী অবরোধের পর প্রথম দেশ হিসেবে কোনো ধরনের চুক্তি না করেই মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে কার্গো বিমানে খাদ্যসহ আবশ্যকীয় পণ্য পাঠায় ইরান, যদিও সেই সময় ইরান ও কাতার দুই দেশের মধ্যে কোনো রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের সম্পর্কও ছিল না। পরে ইরান ও তুর্কি সহয়তায় অবরোধ মোকাবিলায় সক্ষম হয় কাতার। এরই মধ্যে ইরান ও কাতার তাদের মধ্যে রাষ্ট্রদূত বিনিময় করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরানকে প্রকাশ্য সমর্থন করছে ভূমিপথে সৌদি আরবের সঙ্গে সংযুক্ত দেশটি।

অন্যদিকে সব থেকে শক্তিধর মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক সেই দেশে সংঘটিত ব্যর্থ ক্যু’র পর থেকে তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অমূল পরিবর্তন এনেছে। একসময় সৌদি জোট গড়তে সর্বাপেক্ষা বেশি ভূমিকাগ্রহণকারী দেশটি এখন ইরানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। যেকোনো ইস্যুতে ইরান-তুরস্ক এখন যৌথ বিবৃতি দিচ্ছে। এমনকি ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ক এখন কৌশলগত অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত যুদ্ধে সৌদি আরব বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। যুদ্ধের বিপুল ব্যয় বহনের পাশাপাশি সৌদি আরবের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এই যুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব ও মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে রিয়াদ যে ধরনের সমর্থন আশা করেছিল, তা পায়নি। বরং ইয়েমেনে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু, শিশুহত্যা, কলেরাসহ মানবিক বিপর্যয়ে সৌদি আরবের ভাবমর্যাদা মারাত্মক ক্ষুণœ হয়েছে।

ইয়েমেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ করা সৌদি আরবের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। সৌদি আরবের সমর্থনপুষ্ট মানসুর হাদি সরকার ইয়েমেনের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইয়েমেন এখন রাষ্ট্র হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমঝোতা ছাড়া ইয়েমেনের যুদ্ধের অবসান সম্ভব নয়। অপর দিকে ইয়েমেনকে যেকোনো সমঝোতার জন্য ইরানকে পক্ষভুক্ত করতে হবে। কারণ হুতি বিদ্রোহীরা ইরানের সমর্থন নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

পাশাপাশি সৌদি আরব এখন এশীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে। এর মূলে রয়েছে জ্বালানির বাজার খোঁজার বিষয়টি। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ। বিশাল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন তাদের। রিয়াদের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি কেনে বেইজিং। সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারও চীন। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রধান কৌশলগত অংশীদার। বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড মহাপরিকল্পনা সফল করতে গেলে ইরানকে প্রয়োজন। কেননা মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সন্ধিস্থল ইরান। এমন প্রেক্ষাপটেও ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের এ সম্পর্কোন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আবার ইরানকে বছরের পর বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে দেশটিকে। এমন প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক বৃহৎ প্রতিবেশী সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের সম্পর্কোন্নয়ন জরুরি, যা নিঃসন্দেহে তিউনিসিয়া, লেবানন ও লিবিয়ার মতো যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর অবস্থানের পরিবর্তনে সহায়তা করবে।

সম্পর্কের ভবিষ্যৎ: দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মানে এই নয় যে, তাদের নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটবে। তবে তারা নীতিগত অবস্থান থেকে না সরে এলেও দুই দেশই অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে একে অপরের কাছাকাছি আসতে চাইছে। তারা যে তাদের মধ্যে একটি স্থায়ী সমাধান চাইছে, এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই।

বিশেষত সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইয়েমেনের যুদ্ধ দুই দেশের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত সৌদি আরবে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে, যা সৌদি আরবের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিঘিœত করছে। এমন অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে, যা হয়তো ভবিষ্যতে কিঞ্চিৎ হলেও বিদ্যমান থাকবে। তবে দুদেশের দীর্ঘ কয়েক বছরের শীতল সম্পর্ক কিছুটা হলেও যে উষ্ণ হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়