সৌদি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমানবন্দর এবং একটি সামরিক ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। ইরান-সমর্থিত এ গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট বলেছে, তারা একটি বিস্ফোরক ড্রোনে বাধা দেয়ার পর ধ্বংস করেছে। খবর: রয়টার্স, মিডল ইস্ট আই।

গত সপ্তাহে সৌদি আরবের তেল কোম্পানি লক্ষ করে হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালায়। এরপর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। গতকাল আবার হামলা করল বিদ্রোহীরা।

হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছেন, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলের খামিস মুশাইত শহরের আভা বিমানবন্দর এবং কিং খালিদ বিমান ঘাঁটি লক্ষ করে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়েছে। এসব ড্রোন লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেন তিনি।

ড্রোন ওইসব স্থানে আদতেও আঘাত হেনেছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। সৌদি জোট বলছে, গতকাল সোমবার সকালের দিকে খামিস মুশাইতের দিকে ধেয়ে আসা হুথিদের একটি ড্রোন আটকে দেয়া হয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ মার্চ জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবের রাস তানুরা এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম তেল-লোডিং স্থাপনা, শোধনাগার ও আবাসিক ভবন লক্ষ করে হুথিদের ছোড়া একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আটকে দেয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এ প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। যদিও ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।

এ যুদ্ধে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো মানুষ। চলমান এ সংঘাতে ইয়েমেন চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।