নিজস্ব প্রতিবেদক: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মিথ্যা তথ্য ও জাল বন্ধকের বিপরীতে সোয়া ছয় কোটি টাকা ঋণের মাধ্যমে লুটপাটের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেনÑখন্দকার ট্রেডিং করপোরেশন, এস টিভি বাংলা ও পদ্মা ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক সাইফুল কবির এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ক্রেডিট ইনিসিয়েশনের ম্যানেজার আবু মো. শাহারিয়ার, ব্যাংকটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. আরিফ নূর আরেফিন ও ক্রেডিট অ্যানালিস্ট আব্দুর রাজ্জাক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভুয়া তথ্য প্রদান এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আগে বন্ধক রাখা ফ্ল্যাট ও সম্পত্তির তথ্য গোপন করে ঋণ নিয়েছেন। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ নেয়ার সময় দলিলের সার্টিফায়েড কপি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজনেস ইনস্টলমেন্ট লোন হিসেবে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৬ টাকা এবং ফাইন্যান্স অ্যাগেইনেস্ট প্রোপার্টি বাবদ পাঁচ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬২১ টাকাসহ মোট ছয় কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৭ টাকা ঋণ হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের দায় এড়িয়ে আসামিকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। প্রাপ্ত রেকর্ডে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আবেদনে আসামি সাইফুল কবির তার প্রতিষ্ঠান খন্দকার ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবসার কাঁচামাল (ইলেকট্রিক ক্যাবল) কেনার জন্য ফাইন্যান্স অ্যাগেইনেস্ট প্রপার্টি ঋণ হিসেবে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বিজনেস ইনস্টলমেন্ট লোন সীমা এক কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। ওই বছর ছয় কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৭ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল।