নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড রোববার থেকে স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী মঙ্গলবার। এর আগের দুই কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ও সোমবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯৪ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা দুই পয়সা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের পুরোনো বিমানবন্দরের কাছে চিটাগং বোট ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ অক্টোবর।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৪৫ শতাংশ বা এক টাকা দুই পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৯ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৯৭ হাজার ২৮৯টি শেয়ার ৩৩৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৬৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ২১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৩ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর আগে কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাবছরের ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৩ কোটি ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৬০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২২ দশমিক ৪৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২২ দশমিক ৫৯।