Print Date & Time : 2 August 2025 Saturday 6:24 pm

স্বস্তি মিলছে না সবজির বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে শীতের আগাম সবজি শিমের দাম কিছুটা কমলেও বরবটি, করলা, বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আগাম সবজি শিমের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা। এমন দাম কমলেও এ সবজিটি এখনও নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে। কারণ বাজার ও মানভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২০০ টাকা কেজি।
শিমের এমন দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে কোনো সবজি বাজারে নতুন এলে দাম একটু বাড়তিই থাকে। শীত আসতে এখনও বেশ বাকি আছে। তবে শীতের আগাম সবজি হিসেবে শিম ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আগাম বাজারে আসায় এ সবজিটির দাম চড়া। মাস দুয়েক পর শিমের দামে অনেক কমে যাবে। একজন ক্রেতা জানান, গত সপ্তাহে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) শিম বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়। আর আজ বিক্রি করছি ৩০ টাকায়। সামনে শিমের দাম আরও কমবে। মাস দুয়েক পর দেখবেন শিম ১০-২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটোর কেজি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজরের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে করলা, বরবটি, বেগুনের। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। বেগুনের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে- পটোল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিংগা, কাকরোল, ঢেঁড়স, লাউ। চিচিংগা, ঝিঙা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০-৭০ টাকা কেজি। অর্থাৎ দাম চড়া হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়ার তালিকায় থাকা পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। তবে বাজারে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০-২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার ফালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। এদিকে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি।
ডিমের ডজন গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। আর সাদা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। তবে লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো ২০০-২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজার স্থিতিশীল দেখা গেছে। যদিও বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেশি, তারপরও রুই-পাবদা-তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছের দামে খুব বেশি পার্থক্য দেখ যায়নি। অন্যদিকে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা। দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২০০, ইন্ডিয়ান ১৯০ থেকে ২০০, আদা ১৬০ থেকে ১৮০, পেঁয়াজ দেশি ৫৫ থেকে ৭০, ইন্ডিয়ান ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।