Print Date & Time : 11 September 2025 Thursday 4:42 pm

স্বাভাবিক সংশোধন বাজারে

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল স্বাভাবিক দর সংশোধন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দুই কার্যদিবসে ৪৩ পয়েন্ট বাড়ার পর গতকাল প্রায় সাত পয়েন্ট কমেছে। লেনদেনও ওঠানামার মধ্যে ছিল। আগের দিন লেনদেন ২০০ কোটি টাকা বাড়লেও গতকাল কমেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। তবে গতকালের বাজারে নির্দিষ্ট খাতের ওপর নির্ভরশীলতা দেখা যায়নি। সব খাতেই শেয়ারের দর বাড়া-কমার মধ্যে ছিল। বেশিরভাগ খাতের দরপতন হলেও ব্যাংক খাতের পতন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। এদিন ৯টি ব্যাংকের দর বেড়েছে। আর্থিক খাতে ভালো লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। তবে এ খাত কয়েকদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় গতকাল মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা বেশি ছিল। এ খাতে লেনদেন হয় ২১০ কোটি টাকা বা মোট লেনদেনের ২৪ শতাংশ। এর ৩৪ কোম্পানির মধ্যে ২২টি দরপতনে ছিল। পতনের শীর্ষে ছিল বিবিএস কেব্লস। লেনদেন শুরুর পর থেকে শেয়ারটির দর ক্রমাগত বাড়ছিল। ১০ টাকার শেয়ারটির দর উঠে গিয়েছিল ১৪৯ টাকা ৭০ পয়সায়। অবশেষে বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করলে গত দুদিনে শেয়ারটির দর কমেছে ১৭ টাকা ৪০ পয়সা। এ খাতের বিডি অটোকার ও রংপুর ফাউন্ড্রিও দরপতনে ছিল। আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ১০৯ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ। এ খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে। সাতটির দরপতন হয়। প্রিমিয়ার লিজিং চার দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং ইউনাইটেড ফিন্যান্স দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় চলে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ৯২ কোটি টাকা। এ খাতে ছিল মিশ্রাবস্থা। ১২টির দর বেড়েছে, বাকিগুলো পতনে ছিল। এ খাতের কেয়া কসমেটিকসের দর বেড়েছে চার দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকাল বীমা খাত ইতিবাচক ধারায় ছিল। এ খাতের ২৮ কোম্পানির দর বেড়েছে। এর মধ্যে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স ও তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় স্থান করে নেয়। বিবিএসের ৮৬ কোটি টাকা, লংকা বাংলার ৪৪ কোটি, ফরচুনের সাড়ে ২৬ কোটি, এসিআইয়ের ১৭ কোটি, বিডি কমের সাড়ে ১৬ কোটি ও ইউনাইটেড ফিন্যান্সের ১৫ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়ে লেনদেনে নেতৃত্ব দেয়। দরবৃদ্ধির শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেড ক্যাটাগরির আধিক্য লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জেড ক্যাটাগরির জিল বাংলার দর পাঁচ দশমিক ২৬ শতাংশ। এরপর শ্যামপুর সুগার চার দশমিক ৮২ শতাংশ, দুলামিয়া কটন চার দশমিক ৬৮ শতাংশ, ইমাম বাটন চার দশমিক ২৫ শতাংশ এবং কে অ্যান্ড কিউর দর বেড়েছে চার দশমিক ১২ শতাংশ।