স্বাভাবিক হচ্ছে বেইজিংয়ের জনজীবন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ পার্ক, সুপারমার্কেট, বিভিন্ন দপ্তর ও বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষার নেগেটিভ ফল দেখানোর বিধান তুলে নিয়েছে। খবর: রয়টার্স।

গত মাসে ঐতিহাসিক বিক্ষোভের পর চীনের কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে কভিড বিধিনিষেধ শিথিলের পথে হাঁটছে। সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা করোনাভাইরাসজনিত কঠোরতা নিয়ে সুর নরম করার পর থেকে চীনের বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষকে একটার পর একটা বিধিনিষেধ তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ বছরখানেকের বেশি সময় ধরে বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে ভাইরাসটিকে নিয়েই স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। চীনও এখন ধীরে ধীরে সে পথে হাঁটছে।

২০১২ সালে শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এক দশকে দেশটির মূল ভূখণ্ডে এমন বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি। এমনকি ১৯৮৯ সালে তিয়ানানমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে।

বেইজিংয়ের সাবওয়েতে চলাচলেও কভিড পরীক্ষার ফল দেখানোর শর্ত তুলে নেয়া হয়েছে। শহরটির দুটি বিমানবন্দরের টার্মিনালে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এখন আর পরীক্ষার দরকার পড়ছে না বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের পরীক্ষার নেগেটিভ ফল দেখানোর নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়েছে কি না তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

গতকাল দেশটির কর্তৃপক্ষ আরও ১০টি বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেবে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের বিধিনিষেধ উঠতে শুরু করলে তা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে চাঙ্গা করবে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এমন প্রত্যাশা বাড়ছে। অবশ্য কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেও বেইজিং ও চংকিংয়ের মতো বড় শহরগুলোয় যানবাহনে যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে।

বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। চীনের অনেক বয়স্ক নাগরিক এখনও টিকা পাননি। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় চীনের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব রেসপিরেটরি ডিজিজের পরিচালক টং ঝাওহুই বলেছেন, ২০০৯ সালের বৈশ্বিক ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত রোগীর চেয়ে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কম। তবে চীনা কর্মকর্তারাও এখন নিয়মিত ভাইরাসের বিপদ কমিয়ে বলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।