কভিডকালে শিশুদের করণীয় নির্ধারণ করে দিতে হবে। বিধিবিধান কঠোরভাবে মেনে চলতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এবং করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলোর তালিকা তৈরি করতে এসব বিধি সহায়ক হতে পারে। শিক্ষার্থীরা পরস্পরকে কীভাবে স্বাগত জানাবে, ডেস্কগুলোকে কীভাবে সাজানো হবে এবং দুপুরের খাবারের বিরতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পদ্ধতি (তারা কাদের সঙ্গে বসে থাকবে, বিরতিতে কাদের সঙ্গে খেলবে, সপ্তাহব্যাপী কীভাবে তারা তাদের সব বন্ধুর সঙ্গে সময় নির্ধারণ করবে) সম্পর্কে তাদের চারপাশে একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য ও হাত ধোয়া-সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি: কভিড-১৯ থেকে নিজেকে ও অন্যদের রক্ষা করতে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তা নিশ্চিত করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শ্রেণিকক্ষে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় উদাহরণ দেয়া জরুরি।
জীবাণু ছড়ানোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অত্যন্ত সহজ, ব্যয়সাশ্রয়ী ও কার্যকর উপায় হলো হাত ধোয়া। এটি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাকর্মীদের সুস্থ রাখে।
হাত ধোয়ার পাঁচটি ধাপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। এগুলো হলো এক. নিরাপদ ও প্রবহমান পানিতে হাত ভেজানো; দুই. ভেজা হাতে পর্যাপ্ত সাবান লাগানো; তিন. অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাতের সব অংশ, যেমন হাতের নিচের অংশ, আঙুলের মধ্যে ও নখের নিচে ভালোভাবে ঘষে নেয়া। হাত ধোয়ার সময়কে মজাদার অভ্যাসে পরিণত করতে শিক্ষার্থীদের দ্রুত একটি গান গাইতে উৎসাহিত করা যেতে পারে; চার. প্রবহমান পানিতে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলা; পাঁচ. একটি পরিষ্কার কাপড় বা এককভাবে ব্যবহার্য তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে হাত শুকিয়ে নেয়া।
স্কুলে পানির পাত্র, প্রবহমান পানি অথবা সাবানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকলে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে, এমন একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে