স্বাস্থ্য সূচকে উন্নতি হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘স্বাস্থ্য খাতের সব শাখায় মনোযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য সূচকে বিস্ময়করভাবে উন্নতি হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার উভয়ই কমেছে। ২০১৭ সালে গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৭৬ জন থাকলেও বর্তমানে তা ১৭২ জন। এছাড়া ২০১৫ সালে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে মৃত্যুহার ২০ জন থাকলেও বর্তমানে তা হ্রাস পেয়ে ১৮ দশমিক চার ভাগে দাঁড়িয়েছে।’
‘গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত চেকআপ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান’ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ৫৯টি জেলা সদর হাসপাতাল, ৬৮টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ১৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে, প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বৃদ্ধি, গর্ভকালীন জটিলতার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জরুরি প্রসূতি সেবা নিশ্চিতে ‘ডিমান্ড সাইড ফাইন্যান্সিং মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম’ চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সেবা বাড়াতে জনবল নিয়োগ, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধপত্র সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, তিন হাজার মিডওয়াইফ তৈরির লক্ষ্যে মিডওয়াইফারি চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ নার্স ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষ করে সার্টিফায়েড মিডওয়াইফের সনদ পেয়েছেন। তারা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা তৈরিতে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর ২৮ মে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন। সেই থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ওই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।