নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ মামলায় তাকে (পরীমণি) বার বার রিমান্ডে নেওয়ার গ্রাউন্ড নেই। তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সেটার শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছর। যে যে কারণে রিমান্ডে নেওয়া হয় তার কোনোটিই এ মামলায় নেই। ফলে স্বীকারোক্তি আদায় করতেই তাকে বার বার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। আপনি (বিচারক) সেই সুযোগ দেবেন না।’
আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড ও জামিন শুনানির সময় এ কথা বলেন পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাসায় বিভিন্ন জায়গায় মদ পাওয়া গেছে; যা সত্য নয়। যদি সত্য হয়েও থাকে এ মামলায় তাকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন নেই। সে কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য বলে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। কাকে কোন মামলায় রিমান্ডে নিতে হবে তার বিধান আইনে আছে, যার কোনোটিই এ মামলায় পরিলক্ষিত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আইন বলে সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজতে হয়। অভিযুক্তকে শনাক্ত না করা গেলে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য নেওয়া যেতে পারে। এর কোনোটিই এখানে বিবেচনায় নেওয়ার নেই।
আইনজীবী বলেন, তার কাছে আইস ৪ গ্রাম, সাড়ে ১৮ লিটার মদ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যতগুলো ধারা দেওয়া হয়েছে তাতে তার ৫ বছরের বেশি সাজা হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে তাকে বার বার রিমান্ডে নেওয়ার কিছু নেই। এখন আমাদের শঙ্কা, তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্যই বার বার রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে।