আজ ছাত্রনেতা ও রাজনীতিক আবদুল কুদ্দুস মাখনের ৭৪তম জš§বার্ষিকী। তিনি ১৯৪৭ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯৬৯ সালে এমএ পাস করে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সত্তরের দশকের শুরুতে দেশে পাকিস্তানি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রসংসদের সহসাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮-৬৯ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রনেতা হিসাবে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার সদস্যের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি নূরে আলম সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজসহ আরও ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য তিনি চার খলিফার অন্যতম হিসেবে খ্যাত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের অধীনে তিনি মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৮ সালের ১২ নভেম্বর তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কাজী সালমা সুলতানা