অধ্যাপক ড. এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। সালাহ্উদ্দীন আহমদ ১৯২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৩ সালে ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সোশ্যাল আইডিয়াস অ্যান্ড সোশ্যাল চেঞ্জ ইন বেঙ্গল (১৮১৮-১৮৩৫)’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্র, ও জাপানেও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করেন। ১৯৪০ সালে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ‘র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’তে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় তিনি রাজনীতি ছেড়ে, দাঙ্গারোধ ও দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে যোগ দেন ভারতীয় রেডক্রসে। ড. সালাহ্উদ্দীন আহমদ ১৯৪৮ সালে জগন্নাথ কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক, রিডার এবং পরে অধ্যাপক হন। তিনি ১৯৮৪ সালে অবসর নেয়ার আগে জাহাঙ্গীরনগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। সালাহ্উদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য-পরিচালক ছিলেন। তার গবেষণার বিষয় উনিশ শতকের বাংলা। তার লেখা প্রবন্ধের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ে। তিনি মোট ২৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনাও করেছেন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যেÑবাঙালির সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বরণীয় ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীন সুহƒদ, উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন, ইতিহাসের সন্ধানে, ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। কাজী সালমা সুলতানা ���J�̙�t
অধ্যাপক ড. এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহমদের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। সালাহ্উদ্দীন আহমদ ১৯২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৩ সালে ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সোশ্যাল আইডিয়াস অ্যান্ড সোশ্যাল চেঞ্জ ইন বেঙ্গল (১৮১৮-১৮৩৫)’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্র, ও জাপানেও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করেন। ১৯৪০ সালে মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ‘র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’তে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময় তিনি রাজনীতি ছেড়ে, দাঙ্গারোধ ও দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে যোগ দেন ভারতীয় রেডক্রসে। ড. সালাহ্উদ্দীন আহমদ ১৯৪৮ সালে জগন্নাথ কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক, রিডার এবং পরে অধ্যাপক হন। তিনি ১৯৮৪ সালে অবসর নেয়ার আগে জাহাঙ্গীরনগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। সালাহ্উদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য-পরিচালক ছিলেন। তার গবেষণার বিষয় উনিশ শতকের বাংলা। তার লেখা প্রবন্ধের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রভৃতি বিষয়ে। তিনি মোট ২৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। কয়েকটি গ্রন্থ সম্পাদনাও করেছেন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যেÑবাঙালির সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বরণীয় ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীন সুহƒদ, উনিশ শতকে বাংলার সমাজ-চিন্তা ও সমাজ বিবর্তন, ইতিহাসের সন্ধানে, ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। কাজী সালমা সুলতানা ���J�̙�t
স্মরণীয়–বরণীয়