স্মরণীয়-বরণীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক এবং পরিচালক আলমগীর কুমকুমের ৮১তম জš§দিন আজ। তিনি ১৯৪২ সালের ২২ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জš§গ্রহণ করেন।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। একাত্তরে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আলমগীর কুমকুম বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব পালন করেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি পাকিস্তান আমল থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও

ভূমিকা রাখেন।

১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে এদেশের বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতেও তিনি ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চেনা-অচেনা ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর রূপবানের রূপকথা এবং মধুবালা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৯ সালে পদ্মা নদীর মাঝি ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

আলমগীর কুমকুম পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা প্রায় ৪০টি। তিনি চিত্রনায়ক আলমগীরকে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক ও প্রদর্শক ছিলেন। তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র আমার জš§ভূমি, স্মৃতিটুকু থাক, গুণ্ডা, রাজবন্দী, কাবিন, সোনার চেয়ে দামি, রকি, রাজার রাজা, অমরসঙ্গী, জীবন চাবি, আমার জš§ভূমি, মমতা, আগুনের আলো, কাপুরুষ, সোনার চেয়ে দামি, ঝুমকা, ভালোবাসা, শমসের, কাবিন, মহান, সোনার নাও পবনের বৈঠা, মায়ের দোয়া, অপরাজিত নায়ক, অতিক্রম, জীবন চাবি প্রভৃতি। আলমগীর কুমকুম নির্মিত সর্বশেষ ছায়াছবি জীবন চাবি। তিনি ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

          Ñকাজী সালমা সুলতানা