হজে যেতে নিবন্ধিত হয়েছেন ১,১৯,২১২ জন 

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ২১২ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে ৯ হাজার ৯৯৬ জন সরকারিভাবে এবং ১ লাখ ৯ হাজার ২১৬ জন বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

গত ৯ জানুয়ারি সম্পাদিত সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন। এদিকে হজযাত্রী নিবন্ধের সময় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিবন্ধনের কোটা পূরণ হতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হজ নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ হয়ে যাবে।

সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উম্মুক্ত রয়েছে এবং উভয় ব্যবস্থাপনায় নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগ আছে।

সপ্তম দফায় বাড়ানোর পর বুধবার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছিল। তবে তাতেও কোটা পূর্ণ হয়নি। নিবন্ধন ঘাটতি ছিল ৮ হাজারের মতো।

অন্যান্য বছর হজের যাওয়ার জন্য প্রাক-নিবন্ধন থেকে নিবন্ধন পাওয়ার লড়াই থাকলেও এবার হজের খরচ অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় নিবন্ধনের কোটা পূরণ হচ্ছে না; ফলে সময় বারবার বাড়াতে হচ্ছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, এ বছর হজযাত্রীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে বিমান। বাকি ৫০ শতাংশ হজযাত্রীর ভ্রমণ হবে সৌদি এয়ারলাইনসে। রাজধানীর আশকোনা হজ অফিস থেকে হজযাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড দেয়া হবে। এজন্য হজযাত্রীদের বিমানবন্দরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

আগামী ২১ মে ভোর পৌনে ৪টায় প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। ফ্লাইটটি জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় অবতরণ করবে। এছাড়া চলতি বছর প্রাক-হজ ফ্লাইটে ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগামী ২২ জুন বিমানের হজ ফ্লাইট শেষ হবে।