আতিক উল্লাহ আল মাসউদ : আধুনিক ইসরাইল রাষ্ট্র হলোকাস্ট নামীয় সাজানো ফাঁদের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর চোখে ধুলোবালি উড়িয়ে তারা কায়েম করেছিল ফিলিস্তিনের মানচিত্রে নিজস্ব একটি জাতিরাষ্ট্র। তাদের এই ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হয়েছে।
হলোকাস্টের মুখোশ: তালমুদের (ইহুদিদের দ্বারা প্রণীত মৌখিক আইন গ্রন্থ) ভাষ্য হলো, ইহুদিরা যখন রাজ্যহারা হয়ে যাবে, তখন ৬০ লাখ ইহুদিকে আত্মবিসর্জন দিতে হবে। তারপর প্রতিষ্ঠিত হবে ইহুদিদের নিজস্ব রাষ্ট্র।
তারা এই ভাষ্যকে বাস্তবায়নের জন্য প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। এজন্য তাদের কাছে হলোকাস্টের অভিনয় করা জরুরি হয়ে পড়ে। ইহুদিরা উদ্বাস্তু হয়ে উৎপীড়নের শিকার হতে রাজি, তবুও প্রাণ উৎসর্গে তারা রাজি নয়।
বিদ্যায়তনিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলোকাস্ট হলো, আগে রোমান ও গ্রিকদের ধর্মীয় রীতিতে দেবতাদের খুশি রাখতে অন্ধকার রাতে কালো রঙের পশুকে সম্পূর্ণ ঝলসিয়ে উপঢৌকন হিসেবে পাহাড়ে রেখে আসা হতো। এটাকে তারা গ্রিক ভাষায় Holokaustos বলে। আর ইংরেজিতে বলা হয় Holocaust, তথা পুরোপুরি ঝলসিয়ে দেয়া। ইহুদিরা সবকিছুতে ইউনিক কৃষ্টি লালনে অভ্যস্ত। তাই তারা হলোকাস্ট সাজাতে বয়ান তুলেছে ৬০ লাখ প্রাণের ঝলসানো বিনিয়োগ। অথচ তারা প্রাণের ভয়ে মগজে টোকর মারে।
হলোকাস্ট মঞ্চ তৈরি: পৃথিবীর মানচিত্র বহুবার রঞ্জিত হয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল রক্তের দরিয়ায় ভাসমান ইউরোপ। যুদ্ধের Hybrid Warfare শেষ করে পিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের কয়েক দিন আগে ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক টাইমস কোনো প্রকার সূত্র বা উৎসের উল্লেখ ছাড়াই শিরোনাম করল‘অসউইচ শ্রমশিবিরে হিটলারের নাৎসি বাহিনী ৪০ লাখ ইহুদি হত্যা করেছে।’ ব্যস! স্ট্র্যাটেজি খতম। যুদ্ধ শেষ হওয়ামাত্র বিজয়ী মিত্রশক্তি নুরেমবার্গ আদালতে দাবি তুলল, অসউইচে ৪০ লাখ ইহুদি হত্যার বিচার চাই। জায়োনিস্ট মিডিয়ায় উৎসব তৈরি হলো তারা প্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য এই সংবাদ প্রচার চালাতে লাগল। এদিকে সোভিয়েত সরকার রিপোর্ট করল, অসউইচে ইহুদি গণহত্যা হয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা ৪০ লাখ। তদুপরি তালমুদের ভাষ্য অনুসারে সংখ্যাটির ২৫ পার্সেন্ট এখনও অপরিপূর্ণ। অতঃপর দুই-দুই চার শেষ, নতুন করে জায়োনিস্টরা দাবি করল, বুচেনওয়াল্ড, বারজেন বেলসেন, মাউথাউসেন, ডাকাউ ও জার্মানির মূল ভূখণ্ডের অন্যান্য বন্দিশিবিরে আরও ২০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছে। ফলত হলোকাস্টওয়ালারা সমুচ্চারিত কণ্ঠে দাবি করেন যে, শাওয়ার বা গোসলখানায় পানি ছাড়ার কলের ছদ্মাবরণে গ্যাসচেম্বারে ইহুদি গণহত্যা চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার নেতা স্টালিন বললেন, নাৎসিরা বিভিন্ন শ্রমশিবিরে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করেছে।
হলোকাস্ট বিরোধিতার ভয়াবহতা: চতুর্দিকে শোরগোল করে হলোকাস্টের বয়ান ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হিটলারকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো নব্য ফেরাউন হিসেবে। বুদ্ধিজীবীদের মগজ ধোলাইকরণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি আছে সত্য উম্মোচনকারীদের শূলে চড়ানো। ইহুদিরা সত্যকে মৃত্যু থেকেও বেশি ভয় পায়। ঔবরিংয ঊহপুপষড়ঢ়বফরধ-তে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সত্যের মতো আর কোনো বিষ নেই, যা ইহুদিরা এত ভয় পায়।
তাই তারা এই মিথ চাউর করে একদিকে বিশ্ব কর্তৃত্বের লাগাম ধরতে চেয়েছে, অন্যদিকে এই ঘটনাকে সন্দেহ করলে তাকে হিটলারের দালাল বলে আখ্যায়িত করা হবে এবং কেউ যেন অস্বীকার করতে না পারে, সেজন্য ইউরোপীয় দেশে দেশে নতুন আইন কার্যকর করা হয়।
‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ নামে একটি ফৌজদারি আইনের দিনক্ষণ শুরু হলো। এই আইনে অপরাধ করলে শাস্তি হিসেবে ছয় বছর কারাদণ্ড এবং সাত লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারিত হয়। আবার এটিও বলা হয়, সন্দেহকারী কারও ওপর ইহুদি জঙ্গিবাদীরা হামলা করবে। এমনকি আক্রমণাত্মক হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজদাকে হলোকাস্ট বয়ানে সন্দেহ পোষণ করায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মূর্খ বলে অপমান করা হয়। অনুসন্ধিৎসু গবেষকদের মাথার ওপর ঝুলতে থাকবে অপবাদ, একঘরে হওয়ার ভীতি; এমনকি মৃত্যু আশঙ্কার খড়্গ।
হলোকাস্টের বাস্তবতা: সত্যিই কি হলোকাস্ট হয়েছে? আজ পর্যন্ত কোনো মিথ দীর্ঘদিন গোপন থাকতে পেরেছে? সত্যি কি ৬০ লাখ ইহুদি নিহত হয়েছে? এসবের উত্তরÑনা, না এবং না। ৪০ লাখ ইহুদি হত্যার স্থান অসউইচে ছিল নাৎসি বাহিনীর ৪০টি বৃহৎ ও অত্যাধুনিক শিল্পকারখানা। আশেপাশে ছিল উন্নত মানের সিনথেটিক রাবার ও ওষুধ নির্মাণের কারখানা। আরও ছিল নাৎসি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি ও বিপুল অস্ত্রশস্ত্র। যুদ্ধ চলাকালে সেখানে মিত্রবাহিনী একটিবারও বোমা হামলা করেনি। অনেক গবেষণা করে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায় যে, অসউইচসহ বিভিন্ন বন্দিশিবিরে এক লাখ ৩৫ হাজার থেকে এক লাখ ৪০ হাজার লোক মারা গেছে, যাদের মধ্যে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীসহ ইহুদিরাও ছিল।
ঐতিহাসিক মতামত: ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে হলোকাস্ট বয়ানের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। ইহুদিরা ৬০ লাখ সংখ্যা প্রচার করার মাধ্যমে মোট নিহতের সংখ্যাটি পুরোপুরি গোপন করেছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক ও গবেষকরা তা গোপন থাকতে দেয়নি। অসউইচ বারকেনিউ জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর ও রাষ্ট্রীয় মুহাফিজখানার পরিচালক ড. ফ্রান্সিসজেক পাইপার বলেছেন, হলোকাস্টের সাজানো ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার বিষয়টি একটা ডাহা প্রতারণা। ২০০৫ সালের ২১ জানুয়ারিতে এক ভিডিওতে তিনি বলেন, অসউইচ শ্রমশিবিরে হত্যার বিষয়টি জোসেফ স্টালিনের একটি প্রোপাগান্ডা।
ইহুদি সাংবাদিক ডেভিড কোলের সাক্ষাৎকারে পাইপার জানিয়েছেন, আমি জšে§র পর থেকে শুনে আসছি ৪০ লাখ ইহুদি হত্যার গল্প, এরপর একটি সরকারি রিপোর্টে দেখেছি ১১ লাখ ইহুদি হত্যার কথা। আবার লিউচটার রিপোর্টে দেখি, গ্যাসচেম্বারে ইহুদি হত্যার কাহিনি পুরোপুরি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ আর্ন জোসেফ মেয়ার হলোকাস্ট নিয়ে একটি বই লিখেছেন। নাম দিয়েছেন, ÔWhy Did the Heavens Not Darken অর্থাৎ, স্বর্গ কেন অন্ধকার হয়নি? এ বইয়ে তিনি খোলাখুলি উল্লেখ করেছেন, গ্যাসচেম্বারে ইহুদি হত্যার কাহিনি সঠিক নয়। অসউইচ ও অন্যান্য শ্রমশিবিরে মৃতদের অধিকাংশ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
গ্যাসচেম্বার বিশেষজ্ঞ ফ্রেড এ লিউচটার ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলেন, অসউইচে এযাবৎ গ্যাসচেম্বার হিসেবে যা প্রদর্শন করা হয়েছে, এ ধরনের গ্যাসচেম্বার কখনও সেখানে ছিল না এবং এ ধরনের গ্যাসচেম্বার ব্যবহারের কোনো আলামতও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সম্পর্কে গবেষণা ও সঠিক তথ্য জানাতে উদগ্রীব হয়েছে গবেষক, ইতিহাসবিদ ও সত্য অনুসন্ধানী ব্যক্তিবর্গ। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও গবেষক রিচার্ড ভেরাল সমকালীন বই-পুস্তক, ঐতিহাসিক প্রমাণ, পত্রপত্রিকার রিপোর্ট ও নুরেমবার্গ আদালতে প্রদত্ত সাক্ষ্য প্রভৃতির ভিত্তিতে একটি বই লিখেছেন। নাম দিয়েছেন: ‘উরফ ঝরী গরষষরড়হ জবধষষু উরব’Ñসত্যিই কি ৬০ লাখ নিহত হয়েছিল?
বইটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয়। লেখক বইটির উপসংহারে একথায় উপনীত হয়েছেন যে, ‘হিটলার কখনও কোনো ইহুদি হত্যার নির্দেশ দেননি এবং গ্যাসচেম্বারে ইহুদি হত্যার কাহিনিটা একটা আজগুবি গল্প মাত্র। মা যেভাবে শিশুসন্তানকে গল্প শোনায়Ñ‘এক ছিল দৈত্য। কুলার মতো কান। মুলার মতো দাঁত। সকাল-বিকাল হাজারো লোকের কল্লা দিয়ে সে নাশতা করত,’ ইত্যাদি। অনুরূপ বয়ানের নাম হলো হলোকাস্টে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার গল্প।
অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও যথার্থতা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ঘটেছিল তা নিরেট যথার্থতা প্রমাণ করেছে রেডক্রসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসিরা বন্দিশিবিরে কেমন আচরণ করেছে, তা জানতে ও জানাতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস তিন ভলিউমের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তৃতীয় ভলিউমের ৫৯৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, আমরা বন্দিশিবিরের কাপড়চোপড় ধোয়ার জায়গা থেকে শুরু করে গোসলখানা ও শাওয়ার পরিদর্শন করেছি। সেখানে কোনো প্রকার নোংরা কিংবা অপরিচ্ছন্ন কিছু দেখা যায়নি। বরং দেখা গেছে প্রতিনিধিরা সারাক্ষণ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সজাগ। রেডক্রসের পরিদর্শক টিম আরও জানায়, বন্দিরা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে একান্তে কথা বলতেন। তাদের খাদ্য ক্যালরির পরিমাণ পরীক্ষা করা হতো। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে চিঠিপত্র আদান-প্রদানের সুযোগ ছিল। রেডক্রস প্রতিনিধিরা প্রায় সময় বন্দিদের খাবার বিতরণও করেছে।
সেখানে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের ও বন্দিদের মৃত্যু নিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল। রেডক্রসের রিপোর্টে আরও দেখা যায়, অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের সর্বাত্মক রূপ ধারণ করার পরপর মিত্রবাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণে জার্মানির রেল ও পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এতে পানি দূষণ ও ভাইরাস সংক্রমণের ফলে জ্বর ছড়িয়ে পড়ে। এতে বন্দিশিবিরে থাকা বন্দিদের মৃত্যু অনিবার্য হয়ে যায়। আর এটিকে কেন্দ্র ইহুদিরা হলোকাস্টের অভিনয় করেছিল।
হলোকাস্টের বয়ান এতই স্থূল ও মিথ্যাচারপূর্ণ যে, সে সময় জার্মানির অধিকৃত পোল্যান্ডে মোট বসবাসকারী ইহুদিদের সংখ্যা ৬০ লাখের অর্ধেকও ছিল না। আবার অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল।
১৯৮৯ সালে অসউইচ ও অন্যান্য শ্রমশিবির সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং সার্ভিসের গোপন একটি দল রেডক্রসের হাতে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট নিয়ে আসে। তাতে দেখা যায়, অসউইচে মারা গেছে এক লাখ ৩৫ হাজার বন্দি। তাদের মধ্যে মৃত্যুসনদ আছে ৬৯ হাজার জনের এবং তাদের মধ্যে ইহুদির সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ হাজার।
বন্দিশিবিরে হত্যা নয়, বরং যুদ্ধের হাইব্রিড ওয়ারফেয়ারের কারণে ১৯৪৫ সালে বন্দিশিবিরে পুষ্টিহীনতা, মহামারি আকারের জ্বর, টাইফয়েড, আমাশয় ও ডায়রিয়ার কারণে মানবিক দুর্যোগের ফলে এক লাখ ৩৫ হাজার বন্দি মারা গেছে।
মিথ কার্যকর: হলোকাস্টের প্রবক্তারা প্রমাণাদি না থাকায় গোলাবর্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্রের মাধ্যমে এই হত্যা দাবি করতে পারেনি। তাই তারা বোকা বানাতে চেয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে। তারা বলেছে, ৬০ লাখ ইহুদি হত্যায় বিভিন্ন শ্রমশিবিরে হিটলার জাকলোন বি নামক কীটনাশক ওষুধ খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়েছিলেন এবং এই ওষুধটি সরবরাহের অপরাধে নুরেমবার্গ আদালতে ড. ব্রুনোটেসকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
অথচ আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, জাকলোন বি আসলে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। বন্দিশিবিরে বন্দি ও কর্মচারীদের উকুনমুক্ত রাখতে এবং তাদের কাপড়-চোপড় ও শয্যাস্থানে ধোয়া-মোছায় এটি ব্যবহার করা হতো।
ক্ষতিপূরণ: হলোকাস্টের বয়ানের মাধ্যমে জার্মানিকে পঙ্গু করা হয় এবং ফিলিস্তিনের বুকে দখলদার ইহুদিরা ইসরাইল নামক রাষ্ট্র নিশ্চিত করে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় জার্মানিকে ছয় হাজার ৮০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘চষধহঃধঃরড়হ ঢ়ষধহ ড়ভ ১৯৪৭’ নামে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে মুল ভূখণ্ডের ৫৬ শতাংশ ইহুদিদের জন্য এবং ৪৩ শতাংশ ফিলিস্তিনের জন্য নির্ধারণ করা হয়। আর জেরুজালেম শহরকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন রাখা হয়। এটি আরব দেশগুলো মেনে না নিলে প্রথম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে আরব মিত্রজোটে পরাজিত হওয়ায় ইসরাইল ৭৭ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয়। এই দখলের পেছনে জাতিসংঘকে হলোকাস্টের মায়া ও আবেগ মোহিত করে।
সর্বশেষ ঐতিহাসিক রবার্ট বি গোল্ডম্যানের ভাষা দিয়ে শেষ করছিÑ‘হলোকাস্ট ছাড়া ইসরাইল নামক রাষ্ট্র গঠন সম্ভবই ছিল না।’
শিক্ষার্থী, আইআইইউসি