নিজস্ব প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা চলমান থাকবে। জোবায়দা পলাতক থাকায় কোনো রিট গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে তারেক রহমান পলাতক আসামি হওয়ায় কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, গত ১৯ জুন এ মামলার রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের বিষয়ে শেষ শুনানি হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ ২৬ জুন রোববার দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ১৯ জুন আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০০৭ সালের দুদকের এ মামলার দীর্ঘ ১৫ বছর পর চলতি বছরের এপ্রিলে দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রুল শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
সম্প্রতি জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এ মামলার রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক।
এদিকে জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করার জন্যই এ মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা এ মামলায় আসামি করা হয় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবালমান্দ বানুকে।