প্রতিনিধি, হাবিপ্রবি (দিনাজপুর) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভোর ৫.৩৯ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য শহীদদের স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণপূর্বক নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শৃদ্ধা জানাতে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা, শিক্ষক, কর্মকর্তা, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ১০ তলা একাডেমিক ভবনের পাশে একটি স্বর্ণচাঁপা ও একটি কৃষ্ণচুড়া গাছের চারা রোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং সকাল ১১টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোকাবহ একটি দিন। এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হত্যা করেছে বাংলার মহীয়সী নারী, জাতির পিতার প্রিয় সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জাতির পিতার সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে। আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের এ জঘন্যতম হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানাই এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার, তিনি চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চিরভাস্মর ও চির প্রবহমান থাকবে।’