নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে গেলো তেসরা মার্চ থেকে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়তে শুরু করেছে। অনেক হাসপাতালে গত কয়েকদিনে আইসিইউ শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানায় শিথিলতা দেখা দিয়েছে। টিকা নেয়ার পরের আট সপ্তাহ বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তারা।
ঢাকার ১৯টি কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতালে গত কয়েকমাসের তুলনায় তেসরা মার্চ থেকে একটু বেশি হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তেসরা মার্চ এসব হাসপাতালে করোনা রোগী ছিলো ১০৪৫ জন, ৮ই মার্চে তা বেড়ে ১২১৭ এবং ১৪ই মার্চে ১৫৩১ জন হয়েছে। এভাবে গত দুই সপ্তাহের প্রত্যেক সাতদিনের ব্যবধানে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ করোনা রোগী শুধু রাজধানীতেই বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরকারী এবং বেসরকারী কোভিড হাসপাতালে ৩ হাজার ৯০০ শয্যা আছে, সেখানে ভর্তি আছে ১ হাজার ৭২০ জন করোনা রোগী। আর ৩২৬টি আইসিইউ শয্যায় ভর্তি ১৯৪ জন আক্রান্ত ব্যক্তি। কুর্মিটোলার ১০টি ও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৪টি আইসিইউ শয্যার সবগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ।
করোনা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামাজিক অনুষ্ঠান ও মানুষের গণজমায়েত বেড়েছে। এসব অনুষ্ঠানে আগতদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে অনীহা আছে। তাই আবারো বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।
যুক্তরাজ্যের করোনার ধরণ বাংলাদেশে এখনো ছড়ায়নি জানিয়ে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ নিয়ে গবেষণা করে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে যে করোনার ধরন এখন রয়েছে, তার জন্য অক্সফোর্ডের এই টিকা কার্যকর বলে মনে করেন তারা। তবে টিকা নেয়ার পর আরো দুই মাস সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি সরকারকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।