Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 10:12 am

হাসপাতাল চালু রাখতে জ্বালানি চাইল হামাস

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জ্বালানির অভাবে গাজা উপত্যকায় একের পর এক বন্ধ হতে থাকা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল চেয়েছে ফিলিস্তিনের উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগ্রাসনকারীদের বোমা হামলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ হতাহত হচ্ছেন গাজা উপত্যকায়। দখলদাররা উপত্যকায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে না দেয়ায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় বিদ্যুৎ নেই। আহত ও গুরুতর অসুস্থ রোগীরা সেখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

আরও বলা হয়, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের অনুরোধ- অন্তত হাসপাতালগুলো চালু রাখতে জন্য জরুরি ভিত্তিতে গাজায় জ্বালানি প্রবেশের ব্যবস্থা করুন।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গত ৩৭ দিন ধরে চলা এ অভিযানে গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।

হামলার প্রথম দিনই গাজা উপত্যকায় পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল ইসরায়েল। পাশাপাশি জ্বালানি তেল প্রবেশেও নিষিদ্ধ করেছিল।

ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালানোর কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। এখন একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলোও। উপত্যকার বড় দু’টি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে সোমবার। এর আগে গত সপ্তাহে আরও ৭-৮টি হাসপাতাল জ্বালানির অভাবে চিকিৎসাসেবা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে উপত্যকার হাসপাতালগুলোর জন্য জ্বালানি প্রবেশ করতে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহবিষয়ক সংস্থা ইউএনওচা। সে আহ্বানের জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে দেয়া হবে না; কারণ এই পরিস্থিতিতে যদি সেখানে জ্বালানি তেলের চালানবাহী গাড়ি ঢোকে সেক্ষেত্রে সেই তেল হামাস চুরি করবে এবং যুদ্ধের প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।