হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিপ্রতি সাত টাকা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রমজানের প্রথম দিনই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের সরববাহ বেড়ে যায়। ফলে দাম কমতে শুরু করে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ছয় থেকে সাত টাকা। খবর বাংলা ট্রিবিউন।
চার দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১৬ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের বাজারে চাহিদা বাড়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিন হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ইন্দোর, নাসিক, পাটনা, শেখপুরা, বেলোরি, বেলডাঙ্গা এসব জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়। এসব জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ১৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চার দিন আগেও এসব জাতের পেঁয়াজ ২২ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চারদিন আগে এসব পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। আর বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে, যা চার দিন আগে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান ও হারুন উর রশীদ হারুন জানান, রমজান মাস এলেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। সে বাড়তি চাহিদা মাথায় রেখে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এছাড়াও বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। এ কারণে সে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যাপক রয়েছে এবং দামও কম। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে নির্দিষ্ট কোনো আমদানি মূল্য না থাকায় বন্দরের ছোট বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।