হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কে খানাখন্দে দুর্ভোগ

প্রতিনিধি, হিলি (দিনাজপুর): দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চারমাথা থেকে ফেরদৌস আলী খান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ আর বৃষ্টির পানিতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত বন্দর থেকে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। এলাকাবাসী বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্তে পানি জমে থাকায় চলতি বর্ষায় বাড়ছে পথচারীদের দুর্ভোগ। তেমনি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছেন, সড়কটি ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছে, জমি অধিগ্রহণে ত্রুটির কারণে কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলি চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কটি বেহাল।

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক চারমাথা থেকে ফেরদৌস আলী খান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত কার্পেটিং উঠে গেছে কয়েক বছর আগেই। এরপর প্রতিবারই বর্ষা এলে ঝুঁকিপূর্ণ এসব সড়কে মাঝে-মধ্যে ইট আর বালু ফেলে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়, যা বিভিন্ন পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য মোটেও উপযোগী নয়। তবে বর্তমান সড়কটির এমনই বেহাল দশা যে, চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

ট্রাকচালক শাহিন বলেন, আমরা হিলি বন্দর থেকে প্রায় প্রতিদিনই পণ্য নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী সিলেট যাতায়াত করি এ সড়কটি দিয়ে। আমরা সড়কটি নিয়ে খুব দুর্ভোগে আছি, সড়কটি সংস্কার হলে আমাদের চলাচলের জন্য উপকার হবে।

আরেকজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে আমাদের ইচ্ছা হয় না। তারপরও কী করব বলেন, যেতেই হয় করার কিছু নেই। বর্ষার সময় কাদা পানি থাকেই। আবার গর্ত তো আছেই।

অটো চালক রহিম বলেন, কী আর বলবও, ভাই এ রাস্তার যা অবস্থা? ‘সরকার এই বন্দর থেকে প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পায়। কিন্তু আমাদের হিলির রাস্তাঘাটের কোনো উন্নতি নেই। আমরা দুইটার ওপর বেশি যাত্রী নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যেতে পারি না। রাস্তার ওপর সব সময় পানি থাকে, কাদা গর্ত আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়।

বন্দরের একজন ব্যবসায়ী বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে বিপজ্জনক হয়ে থাকা এই সড়কে ছোট-বড় গর্তে আটকে পড়ছে আমদানি-রপ্তানি পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক। নষ্ট হচ্ছে ট্রাকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনফ সরকার বলেন, হিলিবন্দরের পানামাপোর্টের ৩নং গেট থেকে জিরোপয়েন্ট ও চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কটির ৪ লেন কাজের টেন্ডার হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা ৯০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে পানামাগেট থেকে সিপি পর্যন্ত কিছু কাজ হয়েছে। সিপি থেকে জিরো পয়েন্ট ও চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় আটকে আছে কাজ। জমি অধিগ্রহণ হলে কাজটি শুরু করবেন বলে জানান তিনি।