প্রতিনিধি, হিলি : দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে দেশী পেয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেয়াজের দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা।ব্যবসায়ীরা বলছেন,মোকামগুলোতে পেয়াজের দাম বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই দামটা বাড়ছে। এদিকে পেয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা।
আজ বুধবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া য়ায়। দেখা যায় ঈদের আগে যে দেশী পেয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকায়,সেই পেয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়।
হিলি বাজারের কয়েকজন পেয়াজ বিক্রেতা বলেন, আমরা ঈদের আগে যেমন কিনেছি তেমন বিক্রি করছি। ঈদের আগে দেশী পেয়াজ বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা দরে। আর ঈদের পর থেকে পেয়াজের দামটা একটু বাড়ছে। বর্তমান দেশি পেয়াজ আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা।
দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পেয়াজ বিক্রেতারা জানান,আমাদের এলাকায় পেয়াজের কোনো আবাদ নেই, তাই আমাদের পাবনা,কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে পেয়াজ আনতে হয়। সেখানেই বর্তমান পেয়াজের দাম বেশি,তাছাড়া সেখান থেকে নিয়ে আসতে পরিবহন খরচ রয়েছে,সেই কারনে দামটা বেশি পড়তেছে। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি হলে দামটা কমতে পারে।
বাজারে পেয়াজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, আমি ঈদের আগে পেয়াজ কিনছিলাম ৩২ টাকা কেজি দরে,কিন্তু আজকে এসে দেখি পেয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। সামনে কুরবানি ঈদ দামটা যদি আরও বাড়ে তাহলে আমরা আরও বিপদে পড়ে যাব। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো পেয়াজের দামটা যেন কমানো হয়। তবে আমাদের পাশেই ভারত । ভারত থেকে যদি পেয়াজ আমদানি হয় তাহলে হয়ত আমরা কম দামে পেয়াজটা পেতে পারি।