পিরোজপুরকে বলা হয় নদী জেলা। সন্ধ্যা, বলেশ্বর, দামোদর ও কালীগঙ্গা নদী ঘিরে রয়েছে জেলাটিকে। নদী ও খালে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি লবণ ও মিঠাপানির সহাবস্থান চাক্ষুষ করতে ঘুরে আসতে পারেন পিরোজপুর থেকে।
যা দেখবেন
পিরোজপুরের খুব জনপ্রিয় স্থান প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে ভাসমান সবজি বাগান, কুড়িয়ানা পেয়ারাবাজার ও স্বরূপকাঠি পেয়ারা বাজারের কথা। বলেশ্বর ব্রিজ, জিয়ানগর ব্রিজ, মাঝের চর, ডিসি পার্ক, হুলারহাট নদীবন্দর, কবি আহসান হাবীবের বাড়ি, সারেংকাঠি পিকনিক স্পট, কুড়িয়ানা পেয়ারা বাজার, বলেশ্বর ঘাট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি, পাড়েরহাট জমিদারবাড়ি, আটঘর আমড়া বাগান প্রভৃতি অপূর্ব দর্শনীয় স্থান।
যেভাবে যাবেন
নদী জেলায় বেড়াতে নদীপথ বেছে নিতে পারেন। আঁচল, রাজদূত, অগ্রদূত প্লাস, হিমালয়, টিপু, ফারহান প্রভৃতি লঞ্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাট নদী বন্দরের দিকে পাল তোলে বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে। পরের দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে পৌঁছে যায় হুলারহাট। একক কেবিনের ভাড়া ১০০০-১২০০ টাকা। দ্বৈত কেবিনের ভাড়া ১৮০০-২২০০ টাকা। সরকারি ছুটির দিন বাদে রকেট বা স্টিমারও চলাচল করে এ রুটে।
পিরোজপুরে যেতে সড়কপথের ভ্রমণও বেশ আরামদায়ক। বিশেষ করে পরিবহনগুলোর লঞ্চ পারাপার যাত্রীসেবা চালু হওয়ার পর সড়কপথে অল্প সময়ে সেখানে যাওয়া যায়। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায় এসব বাস। ফেরি পারাপার গাড়ির মধ্যে ফাল্গুনী, হামিম, প্রিন্স, পর্যটক ও বনফুলের সার্ভিস উন্নতমানের। ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে ভাড়া ওঠানামা করে। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায় সাকুরাÑ এসি ভাড়া ৮০০ টাকা ও নন-এসির ভাড়া ৬০০ টাকা। লোকাল বাসে চড়েও যেতে পারেন পিরোজপুর।
যেখানে থাকবেন
থাকার জন্য ভালো মানের কয়েকটি হোটেল পাবেন পিরোজপুরে। রজনী, রয়্যাল, রিল্যাক্স, ডালাস, বিলাস, বলাকা, অবকাশ, ছায়ানীড়, সিনথিয়া, আল-মদিনা প্রভৃতি হোটেলের সেবা ভালো।
যা খাবেন
খাবার খেতে যাবেন হোটেল আপ্যায়ন, হোটেল নিরব, হোটেল রোজ গার্ডেন ও হোটেল প্রিন্সে। ফিরে আসার সময় সঙ্গে মিষ্টি নিয়ে আসবেন।