হ া ও য় া  ব দ ল: লক্ষ্মীপুর

বারবার নদী ভাঙনের শিকার হলেও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে স্বকীয়তা ধরে রেখেছে লক্ষ্মীপুর। তাই এখনও অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনের সাক্ষী লক্ষ্মীপুর জেলা।

যা দেখবেন

মেঘনা, ডাকাতিয়া, কাটাখালী, রহমতখালী ও ভুলুয়া নদী ঘিরে রয়েছে জেলাটিকে। দালালবাজার জমিদারবাড়ি, সাহাপুর নীলকুঠি বাড়ি, কামানখোলা জমিদারবাড়ির পাশাপাশি খোয়াসাগর দিঘি, ঐদারা দিঘি ও কমলাসুন্দরী দিঘির আবেদন বেশ। বর্তমান সময়ের রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মতিরহাট মাছঘাট, মেঘনার ভাসমান চর, তেলিয়ার চর, চর বসু, চর গজারিয়া, বয়ার চর, মজু চৌধুরীর হাট পর্যটকদের মন জুড়িয়ে দেয়। রামগতি বাজারের পশ্চিম দিক থেকে মেঘনা নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। এ সমুদ্রসৈকতের নৈসর্গিক দৃশ্য খুব মনোরম। এখানকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকে কুয়াকাটার সঙ্গে তুলনা করা হয়। এখানে বসে ইলিশ ধরা দেখতে পাবেন।

যেভাবে যাবেন

লক্ষ্মীপুর যেতে সড়কপথই ভরসা। সড়কপথে রাজধানীর কচুক্ষেত, মিরপুর ১ ও ১০, শ্যামলী, ঝিগাতলা, ফকিরাপুল, নীলক্ষেত ও সায়েদাবাদ থেকে ইকোনো সার্ভিস, গ্রামীণ সার্ভিস, জননী পরিবহন, ঢাকা এক্সপ্রেস, গ্রিনল্যান্ড এক্সপ্রেস, আল-বারাকা, জোনাকী সার্ভিস প্রভৃতি পরিবহনের বাস ছেড়ে যায় লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে। সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল করে এসব পরিবহন। ভাড়া সাড়ে ৩০০ থেকে শুরু।

যেখানে থাকবেন

থাকার জন্য সরকারি পর্যায়ে জেলা সার্কিট হাউজে উঠতে পারেন। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ইউনিক, ফিরোজ, নূর, আবেহায়াত, ভাণ্ডারী, মোহাম্মদিয়া হোটেল ভালো মানের।

যেখানে খাবেন

খাবারের জন্য হাবিব সুইটমিট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ইস্টিকুটুম, ক্যাফে মদিনা প্রভৃতি রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন। লক্ষ্মীপুর ভ্রমণ শেষে বন্ধু-বান্ধবের জন্য মিষ্টি ও মহিষের দুধের তৈরি দই নিয়ে আসতে পারেন।