১০ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে রাবির শিক্ষার্থীরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, সান্ধ্য আইন পরিবর্তন ও ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা৷

শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, সান্ধ্য আইন পরিবর্তন, ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ওয়াইফাইয়ের সমস্যা দূর করা, ডাইনিংয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি, অতিথিদের হলে প্রবেশে অনুমতি, অন্য হলের ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের খালা ও স্টাফদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে অবস্থানের অনুমতি, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, হলের চারপাশ ও ওয়াশরুম পরিষ্কার করা এবং হলের মশা-মাছি নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, হলের ডাইনিং-এর খাবারের মান খুব নিম্নমানের। প্রতিদিন আলু আর পেপে খেতে খেতে আমরা অতিষ্ঠ। করোনার দীর্ঘদিনের ছুটির পর ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ অথচ খাবারের মান দিন দিন নিম্নমানের হচ্ছে। হল প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না৷ এছাড়া হলে আসার পর থেকে ইন্টারনেটের খুবই বাজে অবস্থা। প্রতি মাসে আমরা ইন্টারনেটের বিল দিয়ে সঠিক সেবা পাচ্ছি না৷

তারা আরও বলছেন, হলে অতিথি আসলে তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না৷ সন্ধ্যা ৭ টার পরে হলে ঢুকতে গেলে স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করেন। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিষ্কার থাকায় মশা-মাছি বেড়েই চলেছে। অনতিবিলম্বে আমাদের এসব দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো৷

এসময় তারা ‘ইন্টারনেট বিল দেই সেবা কই’, ’সন্ধ্যাকালীন আইন মানি না’, ‘খালাদের মাতব্বরি মানব না মানব না’, ‘সমস্যা হলেই গণরুম ছাড়ার হুমকি কেন?, ‘মা বোনদের হলে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘ক্যান্টিন ব্যবসা বন্ধ করো করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা৷

এসময় ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের জন্য দুই-তিন দিন সময় চেয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

পরে, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর।