Print Date & Time : 14 August 2025 Thursday 9:09 pm

১০ লাখ ৬২ হাজার ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসীসহ এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৬২ হাজার ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত সোমবার গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুজিববর্ষে সাধারণ জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরটি) এবং বাংলাদেশে ভ্রমণেচ্ছু বিদেশি নাগরিকদের মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রদান করে। বর্তমানে ৭৩টি বিদেশি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবর্তনের পর এ পর্যন্ত তিন কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার এমআরপি ইস্যু করা হয় এবং ১৬ লাখ ১৯ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এমআরপি ও এমআরভি  প্রবর্তন করে সরকার এই সেবার আধুনিকায়ন বন্ধ করেনি।’ তিনি জানান, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী বলেন, ‘গ্রিস প্রবাসী সব বাংলাদেশির পাসপোর্ট-সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ আমরা করে যাচ্ছি।’

এথেন্স থেকে দূরে বসবাসকারী প্রবাসীরা যেন সহজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন, সেজন্য ই-পাসপোর্ট আবেদনের যন্ত্রপাতিসহ একটি মোবাইল ইউনিট রাষ্ট্রদূতের কাছে করেন হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, জার্মান ভেরিডস কোম্পানির চিফ অপারেশন অফিসার জুলিয়ান সিওয়ার্ট ও গ্রিসে অবস্থানকারী কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসী। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈদেশিক মিশন হিসেবে জার্মানির বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম, এমনকি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে স্বল্পসংখ্যক দেশে তা স্থাপিত হয়েছে।