সংসদে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ

১১ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আয় ৪১০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টন। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানির এ কার্যক্রম থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে চার হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব-উর রহমান ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে প্রশ্নোত্তর উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রীর কাছে সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান জানতে চান যে, চট্টগ্রাম নৌবন্দর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে কী পরিমাণ পণ্য/মালামাল আমদানি ও রপ্তানি করা হয়েছে এবং বর্তমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে কমেছে নাকি বেড়েছে?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এবং কন্টেইনার পরিবাহী পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হ্যান্ডলিং হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ১০ কোটি ৮০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৬ টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছিল।

তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ১১ মাসে ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৯ টন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি হয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত মোংলা বন্দরের কার্যক্রম থেকে মোট ২৯২ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম থেকে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে চার হাজার ১৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।