Print Date & Time : 27 August 2025 Wednesday 11:42 pm

১২৩ টাকায় প্রবাসী আয় কিনছে ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হলেও, গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি ব্যাংক প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম দিয়েছে ১২৩ টাকা। প্রবাসী আয় কেনার সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও বিদেশি রেমিট্যান্স হাউস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অথচ ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। এর বাইরে সরকার ও ব্যাংকের আড়াই শতাংশ করে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনাসহ দাম দাঁড়ায় ১১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।

প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমদানি দায় মেটাতে ডলারের বেশি দাম নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে আমদানি খরচ বাড়ছে, যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে পণ্যমূল্যের দামে। বর্তমানে আমদানিতে ব্যাংকারদের দুই সংগঠনের নির্ধারিত ডলারের দাম ১১০ টাকা ২৫ পয়সা। কিন্তু গতকাল একটি ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলসি খুলতে ১২৭ টাকা ৯৫ পয়সা নিয়েছে ব্যাংক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভোজ্যতেল আমদানিকারক বলেন, আমাদের ১২৭ টাকা ৯৫ পয়সায় এলসি খুলতে হয়েছে। ব্যাংক ডলারের অভাবে ভুগছে বলে আমাদের এই পরিমাণ দিতে হয়েছে। তবে ডলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডলারের দর ঠিক করে দেয়া দুই সংগঠন এবিবি ও বাফেদা।

গত ২২ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া। সেদিন বাফেদা ও এবিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। এছাড়া চলতি হিসাবে এখন ঘাটতি নেই। এজন্য ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হবে।

পরের দিন ২৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাফেদা ও  এবিবি ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিকে সঠিক ও সময়োপযোগী বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, চাহিদা ও জোগানোর ওপর নির্ভর করে ডলারের দাম নির্ধারিত হয়। ডলার খরচ হয় সেবা ও পণ্য ক্রয় এবং ঋণ ও বিদেশি দায় মেটাতে। এখন আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশি দায় কমে এসেছে। সামনে বিদেশি ঋণ আসবে, এতে রিজার্ভ বাড়বে। এ কারণে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্তটি যথাযথ।

একাধিক ব্যাংকার জানান, যেসব ব্যাংক ঘোষণার চেয়ে ডলারে বেশি দাম দিচ্ছে না, তারা খুব বেশি প্রবাসী আয় পাচ্ছে না। বিশেষ করে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ঘোষণার চেয়ে ডলারের বেশি দাম না দেয়ায় প্রবাসী আয় পাচ্ছে না। চলতি হিসাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর প্রবাসী আয় একেবারে কমে এসেছে। তবে বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাংক বাড়তি দামে এখনও প্রবাসী আয় কিনছে।