১৩ কৃষি উদ্যোক্তা এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি খাতে অবদানের জন্য এ বছর প্রথমবারের মতো ১৩ কৃষি উদ্যোক্তাকে এআইপি (এগ্রিকালচারালি ইমপোর্ট্যান্ট পারসন) সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সকালে ১৩ কৃষি উদ্যোক্তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এখন থেকে প্রতিবছর এ খাতে এ পদক দেবে সরকার।

এ উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে ও নির্দেশে এ সম্মাননা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এআইপিরা এখন থেকে সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ বছরই প্রথমবার দেয়া হচ্ছে ১৩ জনকে। আগামী বছর থেকে ৪৫ জনকে এই সম্মাননা দেয়া হবে।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্মাননাপ্রাপ্ত ১৩ জনকে মোট চারটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটেগরিতে চারজনকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে কৃষিতে জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। ‘খ’ ক্যাটেগরিতে ছয়জনকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে।

‘ঘ’ ক্যাটেগরিতে একজনকে রাখা হয়েছে কৃষি ফসল, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও বনজ সম্পদ উপখাতভুক্ত সংগঠনের। আর ‘ঙ’ ক্যাটেগরিতে দুজনকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক পাওয়াদের।

প্রতিবছর যারা এআইপি সম্মাননা পাবেন, তারা এক বছর মেয়াদের জন্য একটি এআইপি কার্ড পাবেন। পাশাপাশি পাবেন কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র। এ ছাড়া তারা পাবেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় পাবেন আমন্ত্রণ। বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণের সময় সরকারি গণপরিবহনে তারা পাবেন আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার। পাশাপাশি ব্যবসা বা দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা পাওয়া সহজ করতে দূতাবাসকে উদ্দেশ করে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একজন এআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পাবেন। পারবেন বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা।

এবার ‘ক’ ক্যাটেগরিতে সম্মাননা পাচ্ছেন চারজন। তারা হলেন বাউধান-৩ ও লবণসহিষ্ণু বাউ সরিষা ১, ২, ৩ জাত উদ্ভাবনকারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, দ্বি-বীজ আলুসহ ১০টি সবজির জাত উদ্ভাবনকারী দিনাজপুরের এ আর মালিক সিডস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক, মেহগনি বীজ থেকে তেল ও পাতা থেকে চা উদ্ভাবনকারী বাগেরহাটের ফিউচার অরগানিক ফার্মের সৈয়দ আব্দুল মতিন এবং আলীম পাওয়ার ট্রিলার উদ্ভাবনকারী সিলেটের আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী।

‘খ’ ক্যাটেগরিতে নির্বাচন করা হয়েছে ছয়জনকে। তারা হলেন নাটোরের সেলিম রেজা, ঠাকুরগাঁওয়ের মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠির মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুরের বদরুল হায়দার ব্যাপারী, পটুয়াখালীর শাহবাজ হোসেন খান এবং কুমিল্লার সামঝুদ্দিন কালু।

‘ঘ’ ক্যাটেগরিতে একজনকে সম্মাননার জন্য বাছাই করা হয়েছে। তিনি হলেন নওগাঁর জাহাঙ্গীর আলম শাহ। এ ছাড়া ‘ঙ’ ক্যাটেগরিতে সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন দুজন। তারা হলেন পাবনার নুরুন্নাহার বেগম ও শাহজাহান আলী বাদশা।