নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা বাদে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দেয়। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি
প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুতের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসকূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।’