নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিড আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে এটি সবচেয়ে কম মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে কভিডে মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে আরও এক হাজার ৫৫৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সব মিলে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৩৮ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো কভিডবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে সর্বশেষ ২৭ মে এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারপর থেকে দৈনিক মৃত্যু ক্রমেই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে দৈনিক মৃত্যু দুইশর ঘর ছাড়িয়ে যায়। গত কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন পাঁচ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল। শুধু ঢাকা বিভাগেই এক হাজার ১০৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও আশি-ঊর্ধ্ব চারজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, খুলনায় দুজন, বরিশালে একজন, সিলেটে একজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন এক হাজার ৫৬৫ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ তিন হাজার ১০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে প্রথম কভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ আগস্ট তা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এদিকে বিশ্বে কভিডে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৮৫ লাখের বেশি রোগী।