নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়ার বিধান-সংবলিত ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ আগামী ১ অক্টোবর কার্যকর হচ্ছে। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি কার্যকর করার তারিখ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়।
এ আইন অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণের আগে ওই কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
আইনে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো আদালতে ফৌজদারি বা অন্য কোনো মামলা বিচারাধীন থাকলেও বিচারাধীন এক বা একাধিক অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
৩২ ধারায় বলা আছে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দোষী সাব্যস্ত কোনো কর্মচারীকে লঘু ও গুরুদণ্ড দিতে পারবে। লঘু দণ্ডের মধ্যে আছে তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি ও বেতন-ভাতা স্থগিত করা, বেতন স্কেল অবনমিত করা এবং সরকারি অর্থ ও সম্পত্তির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা। গুরুদণ্ডের মধ্যে আছে বেতন নিম্ন স্কেলে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ কিংবা বরখাস্ত। একবার কেউ বরখাস্ত হলে পরে প্রজাতন্ত্রের কোনো কাজে বা রাষ্ট্রের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের অনুকূলে নিয়োগ পাবে না।
৪২ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা এক বছর মেয়াদের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে রায়ের দিন থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হবেন। তবে এক বছর বা তার কম মেয়াদের জন্য দণ্ডিত হলে কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তিকে তিরস্কার, পদোন্নতি ও বেতন স্থগিত করা, পদ ও বেতন স্কেলের অবনমন করা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়ে থাকলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।
আইনে উল্লেখ থাকছে, রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনক মনে হলে তিনি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি এবং চাকরিতে পুনর্বহাল করতে পারবেন।

Print Date & Time : 21 July 2025 Monday 12:40 pm
১ অক্টোবর কার্যকর হচ্ছে সরকারি চাকরি আইন
শেষ পাতা ♦ প্রকাশ: