শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইন্টারনেট এখন মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন ইন্টারনেট ছাড়া অচল। নানা এর প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা হয়। ২০২৪ সালে সবার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জেনারেটিভ এআই সেবা। খবর: ক্লাউডফ্লেয়ার। চলতি বছর কোডিয়াম, ক্লড এবং কোপাইলট নতুন করে শীর্ষ দশ জেনারেটিভ এআই সেবার (৩, ৫ এবং ৭) তালিকায় প্রবেশ করেছে। যেখানে ওপেনএআই দ্বিতীয় বছরের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ইন্টারনেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবার মধ্যে গুগল টানা তৃতীয় বছরের মতো প্রথম স্থান দখল করেছে, এরপর ফেসবুক (২), অ্যাপল (৩) এবং টিকটক (৪) অবস্থান করছে। ২০২৩ সালেও ক্রমটি একই ছিল। তবে হোয়াটসঅ্যাপ প্রথমবারের মতো বৈশ্বিকভাবে শীর্ষ দশ জনপ্রিয় সেবার মধ্যে প্রবেশ করেছে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমিং সেবার মধ্যে স্টিমকে প্রথমবারের মতো শীর্ষ পাঁচের তালিকায় নিয়ে এসেছে। মাইনক্রাফট এই বছর শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে। এদিকে, রোবলক্স টানা চতুর্থ বছরের মতো প্রথম স্থানে রয়েছে। এ বছর বিশ্বব্যাপী গেমিং এবং জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো সাইবার আক্রমণের শীর্ষ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। যেখানে ২০২৩ সালের শীর্ষ লক্ষ্য ছিল অর্থ খাত। বিশেষত, সুপার বোউলের আগের সপ্তাহগুলোতে এই ধরনের আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সুপার বোউল হলো যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক রাগবি (ফুটবল) লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ।
বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিভ্রাটের অর্ধেকের বেশি ঘটেছে সরকারি হস্তক্ষেপে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবাদ, বিদ্রোহ বা সংঘাত এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক অস্থিরতা, এমনকি পরীক্ষার সময় নকল প্রতিরোধেও এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়। মোজাম্বিক, ইরাক, সিরিয়া, বাংলাদেশ, সেনেগাল, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশেষ করে আর্থিক ও আউটসোর্স খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর ইন্টারনেট খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠেনি, কারণ বৈশ্বিক ট্রাফিকের প্রায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতিকারক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অবশ্য ২০২৩ সালের তুলনায় এটি সামান্য বেড়েছে।