২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলছে সেভাবে এগিয়ে চলুক। এ অগ্রযাত্রা যেন বন্ধ না হয়, আমরা যেন এগিয়ে যেতে পারি। ২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। অবশ্যই আমরা সেই জায়গায় যাব, আমাদের যেতেই হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ প্রিন্সিপাল আবদুর রশীদ অডিটোরিয়ামে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম গ্র্যাজুয়েশন ডে-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হয়তোবা নাও দেখে যেতে পারেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। আমাদের মধ্যে হয়তোবা অনেকে চলে যাবেন। নতুন প্রজন্ম একটি উন্নত বাংলাদেশ পাবে। তারা (নতুন প্রজন্ম) মাথা উঁচু করে চলবে। শিক্ষাদীক্ষায় সবকিছুতে তারা এগিয়ে থাকবে। সেটাই হবে বাংলাদেশের ঠিকানা।

পর্যটনশিল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের পর্যটন জিডিপিতে ১০ শতাংশ পর্যন্ত অবদান রাখে। সেখানে আমরা কোনো ফিগারে আসতে পারিনি। চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ শিল্পের প্রসার ঘটবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এ শিল্পকে আকৃষ্ট করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূর্খ লোকের অনেক কথা। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই আমাদের এ অগ্রযাত্রা ও দুর্বার অগ্রগতি। করোনাকাল না এলে হয়তোবা আমরা আমাদের লক্ষ্যে (টার্গেটে) পৌঁছে যেতাম। আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক মেধাবী। মেধাবী ছেলেরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে দেখছে। নতুনভাবে তারা প্রস্তুত হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে, নতুন প্রজন্ম সেই জায়গায় চলে আসছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, পৃথিবীতে ৮০০ কোটি মানুষ। ৮০০ কোটি ধরনের রুচি। কাজেই এ রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের ছাত্রছাত্রীদের চলতে হবে। একেক দেশ ও মহাদেশে একেক রকম রুচি, একেক রকমের খাদ্য অভ্যাস। আমাদের সেভাবে চলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর যত পর্যটক আছেন তারা প্রতœতাত্ত্বিক স্থানে ভ্রমণ করতে যান। আমাদের এখানে যেসব পর্যটক আসেন তারা কোথায় যান? তারা যান জাতির পিতাকে নিয়ে যে জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, পানাম সিটি অথবা লালবাগের কেল্লায়। এসব জায়গায় আমাদের আরও প্রসার করতে হবে।

তেজগাঁও কলেজের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান নির্বাহী সাখাওয়াত হোসেন, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনের (ঢাকা) জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান (ইরান), তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রবিন, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম তাজিম প্রমুখ।