সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড চট্টগ্রাম ইপিজেডের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি ছিল। সেই পরিচিতিকে ব্যবহার করে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ২০ বছরের বেশি সময় লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তাদের খোঁজ পাচ্ছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ আটকে আছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর মাঝিরঘাট এলাকার ব্যবসায়ী এমএ সালাম প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার শিপিং, স্টিল, শিপব্রেকিং প্যাকেজিং, ট্রেডিং ও গার্মেন্টস খাতের ছয়টি প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যারই পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত। গত ২০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় ভবন ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। আর মামলা জটিলতায় নিলাম প্রক্রিয়া আটকে আছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া পাওনা আছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা)। এ বকেয়া আদায়ে সম্পত্তি নিলাম দিলেও পাওনা আদায় হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে সরেজমিনে কারখানা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক বন্ধ। মেয়াদোর্ত্তীণ একটি ভবন পড়ে আছে। কারখানার পাশে থাকা লোকজন এ প্রতিবেদককে বলেন, শুনেছি গত ২০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ। গত দশ বছর ধরে আমরা বন্ধই দেখছি।
এ বিষয়ে বেপজা’র সদ্য বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক মসিউদ্দিন বিন মেসবাহ বলেন, আমরা জানি না প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কি না। কোনো প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হচ্ছে তা আমাদের জানার সুযোগ নেই। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে কোনো অনাপত্তিপত্র নেয় না। আবার বিএসইসিও আমাদের কাছ থেকে কোম্পানি সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে চায় না। তাই তাদের দায়-দায়িত্বের দায় আমাদের না। অপরদিকে সিএসইর কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ শেয়ার বিজকে বলেন, ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্যারাগন লেদার। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তাদের সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। ফলে মন্তব্য করা কঠিন হয়ে গেল।